• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


OCD-তে ভুগছেন না তো! কীভাবে বুঝবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪, ০২:৩৬ পিএম
OCD-তে ভুগছেন না তো! কীভাবে বুঝবেন
সূত্র: সংগৃহীত

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কিন্তু অতিরিক্ত পরিচ্ছন্ন থাকাটা স্বাস্থ্ℱয সমস্যার লক্ষণ। বাঙালি🔯রা একে বাতিক বলে। যা ইংরেজি পরিভাষায় OCD বা অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডার নামে পরিচিত। তবে বিশেষজ্ঞরা জানান, শুধু পরিচ্ছন্নতার বিষয়ই নয়, OCD-র তালিকাটায় আরও কিছু সমস্যাও রয়েছে। এটি এক ধরনের মানসিক বা আচরণগত জটিল অবস্থা। OCD-র সমস্যা হলে একই কাজ বারবার করা, মনে অস্থিরতা এবং অবাঞ্ছিত চিন্তা গ্রাস করে। এটি একটি রোগও বলা যায়।

বিশেজ্ঞদের মতে, কোনো কাজে দিনে আট ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ব্যয় করে, তা হলে তা OCD-র লক্ষণ। এসব ব🐬্যক্তি উদ্বেগ বা অবসাদে ভুগেন। এমন আচরণ ব🐎্যক্তির অজান্তেই হয়। যার উপর তার নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তবে তা প্রতিদিনের জীবনে মারাত্মক সমস্যা তৈরি করতে থাকে।

OCD সমস্যার হওয়ার পেছনে নির্দিষ্ট কোনো কারণ পাওয়াꦦ যায়নি বলেও জানান বিশেষজ্ঞরা। তবে তা মানসিক জটিলতার কারণেই বেশি হতে পারে বলে ধারণা দেন। বিশেষজ্ঞরা জানান, OCD-র পেছনে একটি সঠিক কারণ নির্দিষ♈্ট করা কঠিন। কারণ এটি অনেক কারণেই হতে পারে। মূল কারণ হতে পারে মানসিক জটিলতা। এছাড়াও আরও কিছু কারণে OCD-র জটিলতা দেখা দিতে পারেন। যেমন_

OCD-র পেছনে জিনগত কারণ থাকতে পার🌄ে। গবেষণায় দেখা গেছে, পরিবারে কোনও সদস্যের মধ্যে  OCD-র সমস্যা থাকলে তা বংশগতভাবে অন্যদের মধ্যেও হতে পারে।

এছাড়াও গবেষণায় আরও দেখা যায়, মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চল যেমন, বেসাল গ্যাংলিয়া, ফ্রন্টাল কর্টেক্স এবং সিঙ্গুলেট কর্টেক্স মানসিক উদ্বেগ, আচরণ নিয়ন্ত্রণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য 🌺দায়ী। OCD-তে আক্রান্ত🎐 ব্যক্তির মধ্যে, মস্তিষ্কের এই অঞ্চলগুলো অত্যাধিক সক্রিয় থাকে না। তাই সঠিকভাবে যোগাযোগ করতেও পারে না।

আবার রাসায়নিক ভারসাম্যহীনতা অর্থাত্ নিউরোট্রান্সমিটারের কারণেও এটি হতে পারে। সেরোটোনিন নামের একটি নিউরোট্রান্সমিটার রয়েছে, যা মেজাজ, উদ্বেগ এবং আচরণ নিয়ন🎉্ত্রণ করে। OCD-রোগীর মধ্যে এর ভারসাম্যতা নষ্ট হয়ে যায়। যার প্রভাবে চিন্তাভাবনা এবং আচরণে পরিবর্তন আসে।

বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, OCD-র অন্যতম কারণ হতে পারে আশপাশের পরিবেশ। প্রিয়জনের মৃ▨ত💎্যুতে বা কোনো দুর্ঘটনায় মানসিকভাবে আঘাত পাওয়া, বিবাহবিচ্ছেদ, শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের শিকার হওয়া, যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া OCD-র কারণ হতে পারে। যা থেকে কোনো কাজকে বারবার করার প্রবণতা দেখা দেয়।

OCD-র নিরাময়ের উপায় সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা জানান, এই রোগ নিয়ন্ত্রণে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।  নিয়মিত শরীরচর্চা, মেডিটেশন, যোগাসনꦜ, ওষুধ, জীবনধারা পরিবর্তন, মানসিক দৃঢ়তা বৃদ্ধি, থেরাপি, কাউন্সিলিং করা হলে এটি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। প্রয়োজনে নিয়মিত মন🦩োবিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে। তার পরামর্শ মেনে চললেই OCD-র নিরাময় সম্ভব হবে।

Link copied!