• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


হৃৎপিণ্ডের সুরক্ষায় দেশি ফল করমচা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২৪, ০৪:৩৭ পিএম
হৃৎপিণ্ডের সুরক্ষায় দেশি ফল করমচা
ছবি: সংগৃহীত

করমচা জনপ্রিয় দেশিয় ফল। টকজাতীয় ছোট আকৃতি মুখরোচক ফল এটি। গ্রাম বাংলার বাড়ির উঠানের পাশেই দেখা যায় এই ফলের গাছ। শহরেও বাড়ির ছাদ কিংবা বারান্দায় এ🏅ই ফলের গাছ লাগান অনেকে। স্বাদে টক বলে এটি রান্না করেও খাওয়া যায়। অনেকে আচার বানিয়ে খান। আবার ডালের সঙ্গে করমচা দিয়ে রান্না করে খ🌸েলে বেশ সুস্বাদু লাগে। 

কর꧒মচা গাছ কাঁটায় ভরা। কিন্তু পাতা আর ফলের নান্দনকিতায় 🅺পুরো গাছটি দেখতে বেশ লাগে। সবুজ আর গোলাপি রঙের আভা বাগানের শোভা বাড়ায়। তাই দৃষ্টিনন্দন এই গাছটি অনেকেরই পছন্দের।

করমচা পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্র♓াম করমচায় পাওয়া যায় ৩৬৪ ক্যালরি, রিবোফ্লেভিন শূন্য দশমিক ১ মিলিগ্রাম, নায়াসিন শূন্য দশমিক ২ মিলিগ্রাম, আয়রন ১ দশমিক ৩ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেশিয়াম ১৬ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ২৬০ মিলিগ্রাম, কপার শূন্য দশমিক ২ মিলিগ্রাম রয়েছে। এতে ২০০ দশমিক ৯৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে। করমচা খেলে ক্ষতিকর কোলস্টেরেলও কমে।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ টকজাতীয় এই ফল শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমে য🌜ায় অনেকাংশে। এটি মুখের রু𝕴চিও বাড়ায়। শরীরের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ কমায়। যা যকৃত ও কিডনি রোগ প্রতিরোধ করে। এছাড়া আরও কিছু যত্ন নেয়ে শরীরের। যেমন_

  • করমচা খেলে ইনফেকশন দূর হয়। এটি ভিটামিন সিতে ভরপুর। যা ক্ষুধামান্দ্য, অরুচি দূর করে। শরীরে কোনো ইনফেশন থাকলে তা থেকে নিরাময়ও পাওয়া যায়।
  • করমচার উচ্চমাত্রার পটাসিয়াম রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। যা হৃৎপিণ্ডের সুরক্ষা দেয়।
  • করমচা খেলে লিভার ও কিডনি ভালো থাকে। যকৃত ও কিডনির রোগ প্রতিরোধ করতে এটি কার্যকর। তবে কিডনি সমস্যা হওয়ার আগেই খেলে উপকার পাওয়া যায়। কিডনি রোগীরা করমচা খাওয়া যাবে না।
  • করমচা জ্বর কমাতেও কার্যকর। আবহাওয়া বদলের সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত হোন। তারা সর্দি-জ্বর, কাশি কমাতে করমচা খেতে পারেন। পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে পান করলে মৌসুমি জ্বর নিরাময়ে উপকার পাওয়া যায়। যারা টক খেতে অভ্যস্ত নন। তারা করমচা জুস করে খেতে পারেন।
  • করমচা কৃমির ওষুধের বিকল্প। যাদের কৃমির সমস্যা হয় তারা করমচা খেতে পারেন।
  • করমচা শরীরের ক্লান্তি দূর করে। এটি খেলে শরীরের বিভিন্ন ব্যথাও উপশম হয়। বিশেষ করে বাতে ব্যথা কমায়।
  • করমচায় ভিটামিন এ থাকে। যা চোখের জন্যও উপকারী। দৃষ্টিশক্তি প্রখরতা বাড়াতে করমচার বিকল্প নেই।
  • করমচা ত্বক ভালো রাখতেও কার্যকর। এই গাছের শিকড়ের রস গায়ের চুলকানি দূর করে।
  • করমচা দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষা দেয়। এটি টকজাতীয় ফল হলেও দাঁতের এনামেলের ক্ষতি করে না।
Link copied!