এ সময়ের ফলের মধ্যে জাম একটি জনপ্রিয় ফল। অন্য সব মৌসুমি ফলের তুলনায় জামের স্থায়ীকাল কম হলেও এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। টসটসে রসালো, গাঢ় রঙের এই ফল কিন্তু খেতে বেশ সুস্বাদু। ফলটিতে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম🌠, ভিটামিন সি, থিয়ামিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন এ, নিয়াসিনসহ আরও অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। যা দেহের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ থেকে দেহকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
জামের উপকারিতা
- রসালো ফল জামে জলীয় অংশের পরিমাণ বেশি। প্রায় ৮৮ শতাংশ মিনারেল থাকা। এ ছাড়াও ফসফরাস এবং আয়োডিনের মতো খনিজগুলো একসঙ্গে থাকায় জাম খেলে হাইড্রেটেড থাকে, যা গরমের দিনে খুবই দরকার।
- উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম থাকে জামে।পটাশিয়াম হৃদস্পন্দন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি পটাশিয়াম স্ট্রোক এবং উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধেও সহায়ক।
- রক্তস্বল্পতা কমাতে দারুণ কাজ করে এ ফলটি। যাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন কম, তাদের জন্য জাম খাওয়া খুবই উপকারী। রক্ত বৃদ্ধির পাশাপাশি রক্ত পরিষ্কারও করে জাম।
- জামে আছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং মাইক্রো ও ম্যাক্রো মিনারেলস যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গরমের মৌসুমে জ্বর, ঠান্ডা, সর্দি হতে পারে। এ সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে জাম খেলে এই রোগগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব।
- জামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি ত্বকের জ্বালাপোড়া, ব্রনের মত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল করে।
- অ্যাসট্রিনজেন্ট প্রপার্টি থাকার ফলে জাম ত্বক অয়েল ফ্রি রাখে। এছাড়াও ত্বকের অ্যাকনে ও কালো ছোপ দূর করতে কার্যকরী এটি।
- জামে কম গ্লাইসেমিক সূচক আছে, যা রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। এটি ডায়াবেটিস রোগীর দুর্বলতা, ঘন ঘন তৃষ্ণা এবং প্রস্রাবের লক্ষণগুলোও নিরাময় করে।
- জামে আছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ উপদানসমূহ। যা হাড় এবং আমাদের দাঁত মজবুত করে।
- এই ফলে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি। এই দুই ভিটামিন শরীরে জমে থাকা টক্সিন শরীর থেকে বের করে দিয়ে শরীর সুস্থ রাখে।
- জামে আছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে এবং ধমনীগুলোকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। ফলে কার্ডিওভাস্কুলার সমস্যা প্রতিরোধ হয়।
- যাদের খাবারে রুচি নেই তারা এ ফলটি খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। জামের ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি মুখের রুচি ফেরাতে সাহায্য করে।
- জামে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও আয়রন। প্রয়োজনীয় এই খনিজ উপাদানগুলো দাঁত ও হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
তবে খালিপেটে জাম খাওয়া একদমই উচিত নয়।