ঘাড় বাকা করে এই টেক্সটি পড়ছেন? তবে এখনই ঘাড় স𝓡োজা করে নিন। নয়ত অচিরেই পড়তে হবে মেরুদন্ডের সমস্যায়। আগে থেকেই সচেতন হতে হবে এসব বিষয়ে।
স্মার্টফোন এখন এমন একটি ডিভাইসে পরিণত হয়েছে যে এটি ছাড়া একটি দিন বেঁচে থাকা কঠিন । সকাল ঘুম থেকে রাত পর্যন্ত ছোট থেকে বৃদ্ধ প্রায় সবাই এক রকম মোবাইলে আসক্ত। চোখ খুলতেই ‘গুড মর্নিং মেসেজ’ দেখে অনেকেরই ঘুম ভাঙে। তারপর শুরু হয় চ্যাটিং, গেমস খেলা থেকে শুরু করে যাবতীয় সব কাজ। তবে সবাই যে শুধু বাজে সময় পার করে তা নয়। নানা প্রয়োজনেই মোবাইল দেখতে হয়। আর সেই দেখা যখন অতিরিক্ত হয়ে যায় তখনই বাধে বিপত্তি। মোবা⭕ইলে দেখতে গিয়ে ঘাড় নুইয়ে রাখেন অনেকেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাড় গুঁজে ফোনে কাজ করলে এই দেহভঙ্গিতে থাকার ফলে আপনি ঘাড়ের ব্যথায় ভুগতে সেই ব্যথা ঘাড়, কাঁধ থেকে ছড়িয়ে পরে কোমরেও। কখনও কখনও এই কারণে ঘাড় থেকে কোমর পর্যন্ত পিন ফোটার মতো যন্ত্রণা শুরু হয়। সেই সঙ্গে মেরুদণ্ডের সমস্যা দেখা দেয় । চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই সমস্যার নাম ‘টেক্সট নেক সিনড্রম’। অর্থাৎ সারা দিনে লম্বা একটা সময় আপনি মুঠোফোনে ‘টেক্সট’ করার ভঙ্গিতে থাকলে আপনার দেহে দেখা দিতে পারে এই সমস্যা।
টেক্সট নেক সিন্ড্রোমের লক্ষণ
পিঠ, ঘাড় এবং কাঁধে সাধারণ এবং তীক্ষ্ণ ব্যথা, তীব্র মাথাব্যথা, ঘাড় সামনের দ𒐪িকে নিয়ে যাওয়ার সময় ব্যথা, উপরের পিঠ এবং কাঁধ শক্ত হয়ে যাওয়া ইত্যাদি টেক্সট নেক সিন্ড্রোমের লক্ষণ হিসাবে বᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚিবেচিত হয় ।
কীভাবে টেক্সট নেক সিনড্রোম এড়ানো যায়
প্রথমেই মোবাইল ফোনের আসক্তি কমাতে হবে। যদি টেক্সট করার প্রয়োজন হয় এবং অনেক গুলো করতে হয় তবে ভয়েস কল করুন বা ভয়েস রেকর্ডিং ব্যবহার করুন ।
ঘন ঘন টেক্সট করার পরিবর্তে ফোন করুন। হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারে কথা বলে নিতে পারেন। ল্যাপটপে কাজ করলে, বিরতি নিন বা আরামদায়ক ডেস্কে কাজ করুন যাতে আপনার ঘাড় খুব বেশি বাঁক🐷াতে না হয় । আপনার প্রতিদিনের ওয়ার্কআউট রুটিনে ঘাড় এবং কাঁধের ব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত করুন ।
আরও যেসব বিষয়ে সচেতন হতে হবে
- মাঝে মধ্যেই দেখা যায় মোবাইলে বিস্ফোরণ হয়ে কেউ না কেউ আহত হতে। এর কারণ কি জানেন? তার একট কারণ হলো মোবাইল চার্জে দিয়ে ম্যাসেজিং করা বা মোবাইলে কথা বলা। তাই এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঝুঁকি এড়াতে চার্জ দিয়ে কথা বলবেন না।
- মোবাইলের পর্দায় একটানা তাকিয়ে থাকার ফলে ঘাড় বা মেরুদন্ডের উপর চাপ পড়ে। একইসঙ্গে চোখেও চাপ পড়ে। তাই মুঠোফোনের ব্যবহার সীমিত রাখার চেষ্টা করুন।
- অনেকেরই দেখা যায়, নামাজে দাঁড়িয়েছেন এমন সময় মোবাইল বেজে উঠে। এতে পরিবেশ নষ্ট হয়। তাই এসব জায়গায় মোবাইল সাইলেন্ট করুন।
- মোবাইলে উচ্চ স্বরে কথা বলবেন না। বিশেষ করে বাইরে যখন থাকেন তখন। এতে অন্যরা বিরক্ত হতে পারে। প্রয়োজনে ইয়ারফোন ব্যবহার করুন।