• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন নিয়ে যা বললেন কবীর সুমন


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২৪, ১০:৫৪ এএম
বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন নিয়ে যা বললেন কবীর সুমন
কবীর সুমন। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের চলমান ছাত্র আন্দোলন নিয়ে সরব হয়েছেন বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষ। সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সংগীতশিল্পী কবীর সুমনও। সবার প্রতি শান্তির আহ্বান জানিয়ে নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। সেখানে বাংলাদেশের প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে জনপ্রিয় এই𝐆 শিল্পী লিখেছেন—

আমি ভারতের নাগরিক। বাংল▨াদেশ আমাদের প্রতিবেশী। তার বিষয় আসয়ে নাক গলানোর অধিকার আমার নেই। সেটা করতে চাইও না। তবু বাংলাদেশের অনেকের কাছ থেকে যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি তা ভুলে থাকতেও পারছি না। ভুলবই বা কেন।

ছবি দেখছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। একটু আগেই দেখলাম। মিছিল করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। নেপথ্যে𝓰 শোনা যাচ্ছে কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহকপাট/ 🐻ভেঙে ফেল্ কর রে লোপাট’! মনে হচ্ছে গানটি এডিট করে বসানো হয়েছে ভিডিওর সঙ্গে। ঠিক কাজই করা হয়েছে।

কত সময়ে দেখেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা আমার গানের লাইন লিখে দিয়েছেন দেয়ালে। পশ্চিমবঙ্গে সে তুলনায় কিছুই দেখিনি। বলতে দ্বিধা নেই মনে মন🔯ে আমি বাংলাদে🅰শেরও নাগরিক।

আমার জীবনসায়াহ্ন কাটছে আমার মাভাষায় খেয়াল রচনা করে, গেয়ে, শিখিয়ে। পশ্চিমবঙ্গের সরকার আমার বাংলা খেয়ালকে স্বীকৃতি দিয়েছেন যদিও তাঁদের পেটোয়া এক শিল্পী বাংলা খেয়াল নিয়ে এবং সেই সঙ্গে আমায় বিদ্রুপ ক‍‍`রেছেন꧟ এবং এই রাজ্যের সরকারঘনিষ্ঠ একটি পত্রিকা সেই বিদ্রুপ ও মগজহীন উদ্ভট বক্তব্য ঘটা করে ছাপিয়েছেন—আমার একটি ব্যঙ্꧟গচিত্র সমেত।

আমার জীবনের সেরা কাজ এবং আমার জীবনসায়♋াহ্নের প্রধান কাজ বাংলা খেয়াল বাংলাদেশে চর্চা করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের শিল্পী মরহুম আজাদ রহমান🐼 বেশ কিছু বাংলা খেয়াল রচনা করে গিয়েছেন বিভিন্ন রাগে।

বাংলা ভাষা আর বাংলা খেয়ালের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে আমি বাঁধা—ভালোবাস𓄧ার বন্ধনে। গতবার ঢাকায় গ😼ানের অনুষ্ঠান করতে গিয়ে যে সম্মান ও ভালোবাসা পেয়েছি তা ভারতে পেয়েছি কবার?

এ হেন আমি বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় চুপ করে বসে থাকতে পারি না। থেকেছি কয়েক দিন। আর পারছি না। কিন্তু অবস্থাটা যে ঠিক কী, কী কী কারণে যে এমন হলো এবং হচ্ছে, কারা যে এতে জড়িত তাও তো ঠিকমতো জানি না। তাও পঁচাত্তর উত্তীর্ণ এই বাঙলাভাষী করজোড়ে সব পক্ষকে মিনতি করছি: অনুগ্রহ করে হিংসা হানাহানি বন্ধ করুন। ঢাকা সরকারকে অনুরোধ করছি: বাংলা ভাষার কসম শান্তি রক্ষার চেষ্টা অব্যহত রাখুন। আপনাদের ছাত্রবাহিনী যেন হিংসার ♔আশ্রয় না নেন।

আর কী বলি। আমি তো সশরীরে যেতে পারছি না ঢাকায়। পারলে যেতাম। রাস্তায় বসে পড়ে সকলকে শান্তিরক্ষার জন্য আহবান করতাম।
হানাহানি বন্ধ হোক।

বন্ধ হোক উল্টোপাল্টা কথা বলে দেওয়া। বাঁচুক বাংলাদেশ।
বাঁচুন বাংলাদেশের সকলে।
জয় বাংলাদেশ
জয় মুক্তিযুদ্ধ
জয় অসংখ্য বাংলাদেশির শাহাদাত ও অপূরণীয় ক্ষতিশিকার
জয় বীরাঙ্গনারা
জয় বাংলা ভাষা!

Link copied!