শিল্পীদের সংগঠন নিয়ে আছে বেশ সমালোচনা। কিছুদিন যেতে না যেতেই বিভিন্ন সংগঠন তৈরি হতে দেখা যায়। এবার আরও একটি সংগঠন তৈরি হচ্ছে শিল্পীদের অধিকার আদায়ে ও গল্প বলার স্বাধীনতা চেয়ে। স্বাধীনভাবে যারা কাজ করেন, এমন নির্মাতারাই মূলত এগিয়ে এসেছেন এই সং🐠গঠনে।
সংগঠনটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফিল্ম অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশ’ (ফ্যাব)। এর উদ্যোক্তাদের মধ্যে রয়েছেন নাসির উদ্দীন ইউসু▨ফ বাচ্চু, তারিক আনাম খান, নুরুল আলম আতিক, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, কামার আহমাদ সাইমন, গিয়াসউদ্দিন সেলিম, অমিতাভ রেজা চৌধুরী, পিপলু আর খান, নূর সাফা জুলহাজ, সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন, ইরেশ যাকের, জয়া আহসান, মেজবাউর রহমান সুমন, রুবাইয়াত হোসেন, রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতসহ অনেকে।
জানা যায়, ৩০ ডিসেম্বর বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে ফ্যাব-এর আয়োজনে একটি সম্মেলনওಌ করা হবে। সেই সম্মেলনে নির্মাতাদের পাশাপাশি থাকবেন প্রযোজক, কনটেন্ট ক্রিয়েটর, আর্টিস্ট, রাইটার, সিনেমাটোগ্রাফার, নীতিনির্ধারক, গণমাধ্যমকর্মীসহ অনেকে।
‘ফ্যাব’ সম্পর্কে ধারণা দিতে সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানীতে একটি সংবাদ সম্মেলনে🔯র আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী বলেন, “এখনো প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি ‘ফ্যাব’, এটি মূলত একাডেমিক এক্সারসাইজ প্ল্যাটফর্ম। শিল্প-সংস্কৃতির সব অংশীজনকে নিয়েই আমাদের অ্যালায়েন্স। বড় পরিসরে কনটেন্ট, বিশেষ করে সিনেমা কিংবা ভিজ্যুয়াল শিল্পের নীতিমালা রিফর্ম করা, বাংলা কনটেন্টের সম্ভাবনার সময়কে রিডিফাইন করাটা আমাদไের জরুরি কাজ বলে মনে হয়েছে। তাই এই উদ্যোগ।”
নির্মাতা পিপলু আ♋র খান বলেন, “ক্রিয়েটিভ ইকোনমি বা ক্রিয়েটিভ সেকশনে বিনিয়োগের জন্য ভালো পরিবেশের প্রয়োজন। সেটা কীꦿভাবে তৈরি করা যায়, সেটাই আমরা এ সামিটে আলোচনা করব। রিফর্ম মানে যে সব বদলাতে হবে, এমন না। আমরা একটা অনুকূল পরিবেশ চাই।”
নির্মাতাদের সমন্বিত লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, “শিল্প সংস্কৃতি কিংবা বিনোদন কোনো দাতব্য বিষয় নয়, বরং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। ফলে এ🌠টাকে নীতিনির্ধারকদের ক্রিয়েটিভ ইকোনমি হিসেবে দেখা সম♚য়ের দাবি। আর এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের যুক্ত করে একটা পথরেখা তৈরি করাই এই ক্রিয়েটিভ সামিটের লক্ষ্য।”
𝔍৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দিনব্যাপী ক্রিয়েটিভ সামিটের উৎসবের উদ্বোধন করবেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ফেরদৌসী মজুমদার, নির্মাতা মশিউদ্দিন শাকের ও মোরশ⭕েদুল ইসলাম। এ আয়োজনে নির্মাতা সালাহউদ্দীন জাকীকে দেওয়া হবে বিশেষ সম্মাননা।
ফ্যাব ফেস্টে থাকছে সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারক ও অংশীজনের মধ্যে বিষয়ভিত্তিক মতবিনিময় সেশন, ইনস্টলেশন, চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও সংগীতানুষ্ঠান। এতে অংশ নিতে হলে করতে হবে নিবন্ধ🌠ন। যা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। নিবন্ধনসংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে সংগঠনটির ফেসবুক পেজে।