• ঢাকা
  • বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


রাহুল আনন্দের বাড়িতে আগুনের ‘ভিন্ন তথ্য’ জানা গেল


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৪, ০৫:৫১ পিএম
রাহুল আনন্দের বাড়িতে আগুনের ‘ভিন্ন তথ্য’ জানা গেল
রাহুল আনন্দ ও সেই বাড়ি। ছবি : সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। সংবাদটি প্রকাশ্যে আসার পরই দেশের জনগণ মেতে উঠেন আনন্দ-উল্লাসে। ওদিনই (৫ আগস্ট) দেশে🍸র বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও হত্যার ঘটনা ঘটে। সে ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি ধানমন্ডি ৩২-এ অবস্থিত জলের গান ব্যান্ডের গায়ক রাহুল আনন্দের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। এই ঘটনায় গায়কের তিন হাজারের মতো বাদ্যসহ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

বিষয়টি নিয়ে গত ৯ আগস্ট রাহুল আনন্দের ব্যান্ড ‘জলের গান’-এর অফিশিয়াল💖 পেজে একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে। এ পোস্টে ফ্যাশন হাউজ খুঁতের অন্যতম স্বত্বাধিকারী ফারহ๊ানা হামিদের একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করে লেখা হয়েছে, ‘প্লিজ, লেখাটা পড়ুন ও সত্যটা জানুন।’

শুরুত💫ে ফারহানা হামিদ লেখেন, “রাহুল আনন্দের বাসা উদ্দেশ্য করে আগুন দেয়া, লুটপাট বা ভাঙচুর করা হয়নি। আগুন দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল ৩২-এর বর্তমান ‘বঙ্গবন্ধু মিউজিয়🃏াম ও তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ’।”

রাহুল আনন্দের বাসার অবস্থান বর্ণনা করে ফারহানা হামিদ লেখেন, “রাহুলদা একটা একতলা বাসায় ভাড়া থাকতেন। একপাশে তাদের সংসার, অন্যপাশে জলের গানের স্টুডিও (অনেকের ভিডিওতে এই বাসাটা নিয়ে ভুলভাল কথা বলতে দেখেছি)। সেই বাড়িটা ব্যক্তিমালিকানায় ছিল। ৩২-এর সেখানে আরও অনেক এমন বাসা আছে। রাহুলদা ও তার পরিবারের দুর্ভাগ্য এই মায়াময় বাসাটা নতুন মিউজিয়াম🃏ের দেয়াল ঘেঁষে এবং সান্তুরের পেছনে ছিল, তাই তার বাসাতেও আগুন দেওয়া হয়।”

রাহুল আনন্দের বাসায় আগুন দেওয়ার ౠসঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। এ দাবি করে ফারহানা হামিদ লেখেন, “রাহুলদাকে উদ্দেশ্য করে আগুন দিলে তারা এই পরিবারকে এভাবে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতো না। আর সুযোগ না দিলে সেই বাসা থেকে বের হওয়া অসম্ভব। রাহুলদার বাসায় আগুনের সঙ্গে রাহুলদার ধর্ম, বর্ণ, জাত, সংস্কৃতির কোনো সম্পর্ক নেই। তাই এমন গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করছি।”

সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফারহান🐠া হামিদ লেখেন, “দেশের এই পরিস্থিতিতে যেকোনো গুজব ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। আমরা সচেতন হই। একটা সংসার, একটা দলের বহুদিনের সাধনা, একজন বাচ্চার শৈশবের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। আর কারও কোনো কিছু পুড়ে না যাক। ভালোবাসা নেমে আসুক মানুষের মনে, আপনারা তাদের পাশে থাকলে আবার ‘জলের গান’-এর সঙ্গে গলা মিলিয়ে গান গাইব— ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি/ সকল দেশের রানী সে যে- আমার জন্মভূমি।”

‘জলের গান’-এর বাদ্যযন্ত্র কেউ খুঁজে পেলে তা ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ফারহানা হা🏅মিদ লেখেন, “জলের গানের প্রতিটা বাদ্যযন্ত্র দীর্ঘ সময় নিয়ে হাতে বানানো এবং প্রায় সকলের চেনা। কোথাও কেউ কোনো কারণে খুঁজে পেলে তা ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করছি।”

ব্যক্তিগত ভাবনার কথা উল্লেখ করে ফারহানা হামিদ লেখেন, “আম🍌ি ব্যক্তিগতভাবে কোথাও আগুন দেওয়ার পক্ষেই না। বঙ্গবন্ধু মিউজিয়ামের মতো দেশের একটা গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসে আগুন দেওয়ার পক্ষে তো অবশ্যই না। এই সময়ে সংখ্যালঘুর ওপর আক্রমণের বিষয় আমি অবগত এবং এর ঘোর বিপক্ষে। কিন্তু তার মানে এই না-যে বাসা ধর্ম, বর্ণ, জাত, সং꧋স্কৃতির কারণে আক্রমণ করা হয় নাই। কিন্তু কোনো কারণে গুজব ছড়াচ্ছে আর সেই গুজবকে গুজব বলা যাবে না।”

Link copied!