• ঢাকা
  • শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


বন্যায় বিচ্ছিন্ন মোহনগঞ্জ উপজেলা


নেত্রকোণা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২২, ১১:২০ এএম
বন্যায় বিচ্ছিন্ন মোহনগঞ্জ উপজেলা

বন্যার পানিতে রেলসেতু ভেঙে সারা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন 💖হয়ে পড়েছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা। জেলার বারহাট্টা রেলস্টেশনের মাস্টার গোলাম রাব্বানি শনিবার (১৮ জুন) সকালে বিষয়♊টি নিশ্চিত করেছেন।

গোলাম রাব্বানি বไলেন, শুক্রবার (১৮ জুন) রাতের কোনো এক সময় মোহনগঞ্জ উপজেলার মোহনগঞ্জ ও অতীতপুর রেলস্টেশনের মাঝামাঝি ২৩ নম্বর রেলসেতু ভেঙে যায়।

সেতু ভেঙে যাওয়ায় মোহনগঞ্জ সার😼া দে♊শের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ওই স্টেশনমাস্টার আরও বলেন, “আন্তনগর ট্রেন হাওর এক্সপ্রেস মোহনগঞ্জে আটকা রয়েছে। ট্রেনটি ঢাকার দিকে ছেড়ে যেতে পারেন💖ি।”

মোহনগ💮ঞ্জ জিআরপি ফাঁড়ির ইনচার্জ স্টেশনের শফিকুল ইসলাম জানান, হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি মোহনগঞ্জে আটকা পড়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মোহনগঞ্জের সঙ্গে ময়মনসিংহসহ ঢাকার রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে বলে রেল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেতুর নিচে পানির প্রবল স্রোত থাকায় জরুরি ভিত্তিতে কা𒈔জ করা সম্ভব নয়।

কয়েক দিনের ভারী বꩲর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ, কলমাকান্দা, দু🎐র্গাপুর ও বারহাট্টা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

সীমান্তবর্তী উপজেলা কলমাকান্দা ও দুর্গ🧸াপুরে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বেশি। পানি বৃদ্ধির কারণে অসংখ্য রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে পানিতে তলিয়ে ভেসে গেছꦓে তিন সহস্রাধিক পুকুর ও ঘেরের মাছ।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার কংস, মোমেশ্বরী,🍸 ধনু, উব্দাখালিসহ ছোট-বড় সব 🅷নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এদিকে চলমান ভয়াবহ বন্যার পানি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে প্রবেশ করায় পুরো সিলেট অন্ধকারে নিমজ্জিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কুমারগাঁও ও বরইকান্দিতে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে পানি প্রবেশ করেছে। কুমারগাঁওয়ে জাতীয় গ্রিডের উপ-কেন্দ্রের মাধ্যমে পুরো সিলেট♌ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। আর ৫/৬ ইঞ্চি পানি বাড়লে কুমারগাঁও কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বর্ষণে যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, দশানী, জিঞ্জিরাম নদ-নদীর পানি বেড়েছে। ফলে জামালপুরের বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ওইඣ দুই উপজেলায় কিছু সড়ক ভেঙে যাওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে।

সুনামগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা সুনামগঞ্জ শহরের। এখানে অফিস-আদালত, বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে🅺। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ পুরো শহর বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

বন্যায় সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের গোবিন্দগঞ্জ-দিঘলী এলাকা প্লাবিত হয়ে সারা দেশের সঙ্গে সুনামগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে আন্তজেলা যোগাযোগব্যবস্থাও।
 

Link copied!