খাগড়াছড়ജির দীঘিনালায় পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোটা পার্বত্য অঞ্চল। খাগড়াছড়ির সহি🦄ংসতার প্রভাব গিয়ে পড়েছে রাঙামাটি জেলাতেও। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতভর গোলাগুলি সংঘর্ষে দীঘিনালায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩ জন। আহত হয়েছেন ২০ জনের মতো।
খাগড়াছড়ির সেই সংঘাতের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে রাঙামাটিতে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে জেলা শহরে পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এসময় বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা, 🀅ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ক🃏রা হয়। এতে একজন নিহত ও আহত হয়েছে বহু মানুষ।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রশাসন থেকে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। খাগড়াছড়ির সদর উপজেলায় দুপুর ২টা থে๊কে ১৪৪ ধারার নোটিশ জারি করা হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চন্দ্র রায় স্বাক্ষরিত আদেশে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা𒅌 পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকার কথা বলা হয়েছে।
একইভাবে সকাল থেকে রাঙামাটিতে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনার পর পৌর এলাকায় দুপুর ১টা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছ꧒েন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।
স্থানীয় সূত্রগুলোর তথ্য অনুযায়ী, খাগড়াছড়ির ঘটনার জের ধরে শুক্রবার সকাল থেকে রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালিরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় আঞ্চলিক পরিষদ কার্যালয়সহ অন্তত ৩০টি বাড়িঘর ও দোকানপাটে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়। প্রথম আলোর রাঙামাটি প্রতিনিধি সাধন বিকাশ চাকমার মে🤪াটরসাইকেলসহ অন্তত ১৫টি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা 🐟জানান, সকাল ১০টার দিকে খাগড়াছড়িতে পাহাড়িদের ঘরবাড়ি, দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ এবং তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে রাঙামাটি স্টেডিয়াম এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের🐻 করেন পাহাড়ি ছাত্র-জনতা। এতে প্রায় কয়েক হাজার লোকের সমাগম হয়। স্টেডিয়াম থেকে মিছিলটি বনরূপা এলাকায় পৌঁছালে তাতে কে বা কারা পাথর নিক্ষেপ করে। এরপর পাহাড়ি ও বাঙালির মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।