• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১,

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


শিশুর পেটে গ্যাস জমলে যেভাবে বের করবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪, ০২:৩৩ পিএম
শিশুর পেটে গ্যাস জমলে যেভাবে বের করবেন
ছবি: সংগৃহীত

নবজাতকের গ্যাসের সমস্যা খুবই পরিচিত। নবজাতক যখন মায়ের বুকের দুধ খায় বিশেষ করে ফিডারে দুধ খাওয়া সময় ꦉপেটে বাতাস ঢুকে যায়। আবার যেসব শিশুর অপরিণত পরিপꦑাকতন্ত্র থাকে তাদেরও এই সমস্যা হতে পারে।

কীভাবে বুঝবেন আপনার নবজাতকের পেটে গ্যাস জমেছে

শিশুর পেটে গ্যাস জমলে কিছু লক্ষণ দেখা যায়। যেমন-

  • নবজাতকের পেট যদি বেশি সময় ধরে ফুলে থাকে বা শক্ত লাগে
  • যদি আপনার শিশু অনবরত কাদঁতে থাকে এবং কাঁদতে কাঁদতে পা পেটের কাছে নিয়ে আসে তখন বুঝবেন তার সমস্যা হচ্ছে। কারণ পেটে গ্যাস হলে ব্যথা হয়। আর ব্যথা থেকেই শিশুর এভাবে কাঁদে।
  • অস্থির হয়ে উঠলেও সতর্ক হোন। কারণ পেটে যদি গ্যাস হয় তাহলে তার অস্বস্থি লাগে আর সেখান থেকে সে অস্থির হয়।
  • অতিরিক্ত শরীর মোচড়ায়

নবজাতকের পেটে যেন গ্যাস না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর সেজন্যে তাকে দুধ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢেকুর তꦯোলানো বা বাম্পিং করা দরকার।  

বাম্পিং করাবেন যেভাবে

নবজাতককে দুধ খাওয়ানোর পর পরই শুইয়ে না রেখে বরং কোলে নিয়ে সোজা করে রাখꦿুন। এমনভাবে কোলে নিতে হবে, যেন শিশুর থুতনি মায়ের কাঁধের ওপর থাকে। এবার এক হাত দিয়ে মা বাচ্চাকে ধরে রেখে এবং অন্য হাত কাপের মতো আকৃতি করে পিঠে আলতোভাবে চাপ দেবেন। এতে শিশুর হজমꦿ হবে দ্রুত, পেটে গ্যাস জমবে না।

যদি গ্যাস জমে যায় সে ক্ষেত্রে করণীয়

  • শিশুর শরীর ও পেটে ম্যাসাজ করলেও কিছুটা উপকার পাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে শিশুর পেটে নাভির চারপাশে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। তাতেও বাতাস বের হয়ে আসবে।
  • পেটে গ্যাস জমেছে মনে হলে একটি ব্যায়াম করাতে পারেন। যেহেতু নবজাতক নিজে থেকে হাত পা নাড়াতে পারে না তাই তাকে চিত করে শুইয়ে তার দুই পা ধরে সাইকেলের প্যাডেল ঘোরানোর মতো করে নড়াচড়া করানোর চেষ্টা করতে হবে।
  • বাচ্চাকে সোজা শুইয়ে দিন। তার পর হাঁটুর কাছ থেকে পা ধরে পেটের দিকে মুড়ে দিন। অর্থাৎ দুই হাটু এক সঙ্গে পেটের কাছে নিয়ে যাবেন। এভাবে ৫ সেকেন্ড থাকবেন। তিন বার এই প্রক্রিয়া করুন। এর ফলে বাচ্চাদের পেটে জমে থাকা গ্যাস সহজে বেরিয়ে যাবে।

এর পরও যদি বাচ্চার গ্যাস না কমে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতꦕে হবে।

Link copied!