• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


সংযোগ সড়কের অভাবে কাজে আসছে না সেতু


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২, ০২:৩৪ পিএম
সংযোগ সড়কের অভাবে কাজে আসছে না সেতু

কুড়িগ্রাম পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চর ভেলোকোপা এলাকার মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে একটি সেতুর অভাব পূরণ হলেও পাঁচ বছর ধরে এর সুফল পাচ্ছেন না গ্রামবাসী। ফ♔লে বছরের পর বছর জীಌবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোতে ভর করে চলাচল করতে হচ্ছে এখানকার কয়েক হাজার বাসিন্দার।

সরেজমিনে দেখা যায়, ২০১১-১২ অর্থবছরে কুড়িগ্রাম পৌরসভার অধীনে টাপু ভেলাকোপার হানাগড়ের মাথায় পিচঢালা রাস্তা ও ব্রিজের সংযোগ সড়কসহ ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় হানাগড়ের ব্রিজ। ১৭ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫ মিটার প্রস্থ ব্রিজটি গ্রামবাসীর জন্য আশীর্বাদ হয়ে এলেও ২০১৭ সালের বন্যায় অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায়। সেতুꦫটি অক্ষত থাকলেও ভেঙ💙ে যায় সংযোগ সড়ক।

উপায়ান্তর না পেয়ে এলাকাবাসী বাঁশের সাঁকো তৈরি করে চলাচলের ব্যবস্থা করেন। এ বছর পৌর কর্তৃপক্ষ কাঠ ও বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে দিলেও ভোগান্তি কাটেনি দুই পাড়ের প্রায় ১০ হাজার বাসꦿিন্দাꦆর।

পৌর শহরে ভ্যানচালক মো. সাইদুর রহমান বলেন, “কাঠের সাঁকো বাঁশের সাঁকো দিয়ে আর কত বছর এমন করে চলব। এ সাঁকোগুলো দুই মাস পরপর ভেঙে যায়। কী বলব, আমাদের দুঃখের শেষ নেই। মানুষ একাই এ সেতু দিয়ে পার হতে পারে না। আম♔ার ভ্যান পারাপার করতে হয়। অনেক সময় বড় ধরনের দু👍র্ঘটনা ঘটে থাকে। ছোট বাচ্চারা পারাপার হতে কখন কোন দুর্ঘটনা ঘটবে কে জানে।”

ভেলাকোপার বাসিন্দা আয়নাল হক ⛦ব🌠লেন, “প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে হাজার মানুষ যাতায়াত করে। ছোট বাচ্চারাও পার হয়। হঠাৎ করে যদি কেউ এখান থেকে পড়ে যায়, মৃত্যু ছাড়া উপায় নেই।”

মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মো. আবু ইউসুফ বলেন, “𒆙আমরা এ সেতু দি𝓡য়ে মাদ্রাসায় যাই। বাঁশের পুল দিয়ে পার হতে ভয় লাগে। আমাদের কষ্ট হয়।”

স্থানীয় কৃ🙈ষক মো. আবুল হোসেন বলেন, “আমরা কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। চাষাবাদের জন্য তেল, সার কিনে জমিতে নিয়ে যেতে অনেক কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছি। এছাড়া আমরা শাকসবজি তুলে বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে যেতে এত বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছি যে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।”

ভেলাকোপা ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জমশেদ আলী টুংকু বলেন, “আমি অনেকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি। তবে অর্থ বরাদ্দ করে সেটি মেরামত করা তাদের দায়িত্ব। স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে আমি নিজেও এই ব্ꦏরিজের মেরামতের কাজ করেছি। আমি চাই টেকসই পরিকল্পনা নিয়ে সেতুটির সংযোগ সড়কের কাজ করা হোক।”

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র মো.😼 কাজিউল ইসলাম বলেন, “ভেলাকোপা ব্রিজটির ব্যাপারে কাগজপত্র ঢাকা পাঠিয়েছি। বরাদ্দ এলে দ্রুত কাজ করা হবে।”

Link copied!