• ঢাকা
  • রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪, ৩ ভাদ্র ১৪৩১, ১২ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


স্ত্রীকে নৌকায় বেঁধে কৃষক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা


সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৪, ১১:৫৯ এএম
স্ত্রীকে নৌকায় বেঁধে কৃষক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের একটি চিংড়𒀰ি ঘেরে কৃষক লীগ নেতা মো. আবুল কাশেম কাগুচীকে (৫৪) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় তার স্ত্রীকে নৌকায় বেঁধে রাখা হয়। 

পুলিশের ধারণা, ঘের নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্🌃যাকাণ্ড।

শুক্রবার (৫ জুলাই)  উপজেলার গাবুরা ই🧸উনিয়নের খোলপেটুয়া গ্রামের একটি মাছের ঘের থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে প🍌ুলিশ।

এর আগে, বৃহস্পতিব🥃ার (৪ জুলাই) রাত ১টার দিকে উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের খ🐻োলপেটুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আবুল কাশেম কাগুচী ওই গ্রামের মৃত নেছার কাগুচীর ছেলে। তিনি গাবুরা ইউনিয়নের ১ নম্🍸বর ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি চার ছেলে ও এক মেয়ের জন🍬ক ছিলেন।

পূর্ববিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজꦛন তাকে হত্যা করেছে বলে দাবি পরিবারের।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, স্ত্রীকে নিয়ে আবুল কাশেম কাগুচী বৃহস্পতিবার রাতে ডিঙি নৌকায় করে নিজস্ব চিংড়িঘের ঘুরে দেখছ✃িওলেন। রাত ১টার দিকে অপরিচিত সাত-আট ব্যক্তি আকস্মিক সেখানে উপস্থিত হয়ে ধারালো দা দিয়ে আবুল কাশেমকে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। তাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ১০-১২ মিনিটের মধ্যে ‘কিলিং মিশন’ শেষ করে দুর্বৃত্তরা চলে যায়। পরে নিহতের স্ত্রীর ডাক-চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে পুলিশে খবর দেয়।

নিহত আবুল কাশেম কাগুচীর স্ত্রী ফিরোজা বেগম জানান, তারা ডিঙি নৌকায় থাকা 🐈অবস্থায় মুখে কাপড় বাঁধা লোকজন তার স্বামীকে টেনে-হিঁচড়ে ডাঙায় নিয়ে যায়। এ সময় তার মুখ ও ꦕহাত-পা বেঁধে রেখে অনতিদূরে ফেলে তার স্বামীকে কোপানো হয়। সন্ত্রাসীরা চলে গেলে কোনোমতে মুখের বাঁধন খুলে তিনি চিৎকার করে লোকজনের সহায়তা চান। এক বছর আগে আবুল কাশেমকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। সেই লোকজনই তার স্বামীকে মেরেছে বলে তিনি দাবি করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবুল কাশেম কাগুচীর মালিকানাধীন ওই চিংড়িঘের নিয়ে স্থান𝔉ীয় লোকমান গ্রুপের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এক বছর আগেও আবুল কাশেমকে রাস্তায় ফেলে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। প্রায় চার বছর আগে আবুল কাশেম গ্রুপের সফিকুল ইসলাম প্রতিপক্ষ লোকমান গ্রুপের হাতে নিহ♋ত হন। 

নিহত কাশেম কাগুজির ভাতিজা মিলন কাগুজি জানান, তার চাচার সঙ্গে স্থানীয় লোকমান গাজী, শোকর আলী ও আবু মুসা গংদের আধিপত্য বিস্তার, মা♎ছের 𒐪ঘের ও রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ ছিল।

এর আগেও তার চাচার ওপরে হামলা হয় বলে জানান তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, চিংড়ি ঘেরের বিরোধকে কেন্দ্র করে আবুল কাশেমকে প্রতিপক্ষরা হত্যা করেছে বলে নিহতের স্বজনদ👍ের🃏 ধারণা। 

শুক্রবার ভোরে ঘটন💟াস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্♔গে পাঠানো হয়েছে। মামলা দায়ের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

Link copied!