ফরিদপুরের সালথা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পশুর হাট🏅 বসানোর অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে সালথা উপজেল🦩া নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও প্রতিষ্ঠনিটির গভর্নিংবডির সভাপতি মোছা. তাছলিমা আকতার ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাট বন্ধের নির্দেশ দেন। সোমবার (৪ জুন) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান বলেন, “বহুদিন ধরে সালথা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ🌊্যালয় মাঠে পশুর হাট বসছে। গরু-ছাগলের হাট বসানোর কারণে স্কুলের লেখাপড়ার পরিবেশ চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে ও করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। স্কুলমাঠ নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন হচ্ছে। আমি আমার সহকর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহ൩ী বরাবর লিখিত আভযোগ দিয়েছি। হাট বসানো বন্ধের দাবি জানিয়ে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর তিনি এ পদক্ষেপ নেন।”
এ ব্যাপারে সালথা হাটের ইজারাদার ও সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রাকিবুল হাඣসান জুয়েল বলেন, “বহুদিন থেকে সালথা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পশুর হাট বসানো হচ্ছে। তবে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ইউএনও নিষেধ করে দেওয়ায় তিনি আর মাঠে হাট বসতে দেননি।”
এ বিষয়ে ইউএনও তাছলিমা আকতার বলেন, “খবর পেয়েছি, সালথা সরক𝔉ারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পশুর হাট বসেছে। এ বিষয়টি আমাকে প্রধান শিক্ষক অবহিত করেননি। এর পরে শনিবার (২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে স্কুল পরিদর্শন করে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করি। বিকাল♌ ৫টায় স্কুলের শিক্ষকমণ্ডলী, হাটের ইজারাদার ও হাট কমিটির সঙ্গে আলোচনা করা হয়। স্কুলমাঠে পশুর হাট কোনোভাবেই কাম্য নয়। আসন্ন কোরবানির বিষয়টি সামনে রেখে অস্থায়ী পশুর হাটের জন্য পার্শ্ববর্তী পরিত্যক্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাঠ ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়।”
ইউএনও আরও বলেন, “এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, ডিডিএ🍰লজি ও পুলিশ সুপারকে অবগত করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিত🃏ে সালথা থানার ওসি রোববার (৩ জুলাই) সকালে বিদ্যালয়ের মাঠে পশুর হাট সরিয়ে ফেলতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন।”