কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিজস্ব মুদ্রা চালু করেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন ‘আরাকান রোহিঙ্꧙গা স্যালভেশন আর্মি’ (আরসা)।প্রাথমিকভাবে কয়েকটি ক্যাম্পে এ মুদ্রা চালু করলেও পর্যায়ক্রমে সব ক্যাম্পেই এ মুদ্রা চালু করতে চায় তারা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের গ্রুপে ‘আরসা’ এ মুদ্রার পক্ষে প্রচার🍷ণাও শুরু ক𒊎রেছে।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, “শরণার্থী ক্যাম্পে আরসার মুদ্রা চালুর বিষয়টি আমাদের🌟 জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এমন মুদ্রা প্রচলনের বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য হুমকি 🉐বলে মনে করেন সামরিক বিশ্লেষক মেজর (অব) এমদাদুল ইসলাম।
এমদাদুল ইসলাম বলেন, “সাধারণত কোনো দেশ প্রতিষ্ঠা লাভের পর তার নিজের মুদ্রা চালু করে থাকে। একটি জঙ্গি সংগঠন ক🌌েন মুদ্রা প্রচলন করল? বিষয়টি সন্দেহজনক। বাংলাদেশ সরকারের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত।”
রোহꦅিঙ্গা ক্যাম্পের একাধিক সূত্র জানাচ্ছে, আরসার নতুন মুদ্রা দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছেꦜ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যে আরসা নিয়ন্ত্রিত সবগুলো ক্যাম্পে নতুন এ মুদ্রা চালু হবে।
জানা গেছে, প্রাথম🎐িকভাবে ১ হাজার, ৫০০ এবং ১০০ টাকার নোট ছেড়েছে আরসা। নোটগুলোতে আরসার নেতা আতাউল্লাহর ছবি ছাপানো আছে।
স্থানীয় সূত্রেꦺ জানা গেছে, কক্সবাজারে ৩২টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যে ২৭টিতেই আরসার একক আধিপত্য আছে। সৌদি আরবে বেড়ে ওঠা পাকিস্তানি নাগরিক আবু আম্মর জুনুনী ওরফে আতাউল্লাহ বর্তমানে আরসার একটি অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন।
উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন বলেন, “মিয়ানমারের মুদ্রা ক্যাম্পে চালু হও꧟য়া মানে এটা আমাদের জন্য একটি অশনিসংকেত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনের উচিত এখনই এবিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া।”