• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিল নারীরা


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ১, ২০২২, ০৮:১৯ পিএম
পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিল নারীরা

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় চার মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছিলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। এ সময় রুখে ꩲদাঁড়ায় এলাকার ১৫-২০ নারী। তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয়েছে পুলিশ সদস্যদের। পরে নারীর দলটি ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন ওই আসামিকে।

জানা যায়, রোববার (১ মে) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া ছয়আনি এলাকায় পুলিশের ওপর হামলার মামলার আসামি তারা মিয়াকে (৫২) গ্রেপ্তার করেন সালথা থানার এসআই খারদিয়া এলাকার বিট কর্মকর্তা মো. নাজমুল ও এএসআই মো. লিয়াকত হোসেন। তাদের গ্রেপ্তার অভিযানের সময় রুখে দাঁড়ায় ওখানকার কয়েকজন নারী। ১৫ থেকে ২০ জন নারী চড়াও হয়ে ওই দু𝕴ই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় ওই আসামিকে। ছিনিয়ে নেওয়া আসামি তারা মিয়া খারদিয়ার ছয়আনি পাড়ার বাসিন্দা মৃত মো. মোফাজ্জেল মিয়ার ছেলে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত ক🧜রে ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা সার্কেল) মো. সুমিনুর রহমান বলেন, “পুলিশ কর্মকর্তা নাজমুল𒈔 ও লিয়াকত আসামি তারা মিয়াকে ধরে ফেরেছিল। কিন্তু ওই সময় ওই এলাকার ১৮-২০ জন নারী এগিয়ে এসে পুলিশের ওপর ঝাপিয়ে পড়েন। নারীরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ঝাঁপটে ধরে আলাদা করে ফেলেন। ওই সুযোগে পালিয়ে যান তারা মিয়া।”

তিনি আরও বলেন, “পুলিশের এ অভিযানে কোন🎐ো নারী পুলিশ না থাকায় নারীদের পক্ষে আসামিকে ছিনিয়🌠ে নেওয়া সহজ হয়েছে।”

খারদিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যদুনন্দী ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়ার সঙ্গে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে ওই এলাকায় বেশ🍸 কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

গত ২১ এপ্রিলের খারদিয়া এলাকায় এই দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ থামাতে আহত হয় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় পরে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা হয়। মামলার আসামি হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও ইউনি🌊য়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্🌳পাদক আলমগীর মিয়া গ্রেপ্তার হন। গত বৃহস্পতিবার উভয়েই আদালত থেকে জামিন পেয়ে এলাকায় ফিরে আসেন।

তারা মিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সমর্থক। তিনিও পুলিশের ওপর হামলার মামলার আসামি। এছাড়া তার নামে ২০১৯ সালে একটি এবং ২০২০ সালে দুটি ꦐমামলা রয়েছে। চার মামলার ꦓএ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে নারীদের হামলার শিকার হন ওই দুই পুলিশ সদস্য।

Link copied!