দক্ষিণ💧বঙ্গের অন্যতম প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। এই নৌরুটে তীব্র স্রোত ও ফেরি সংকটের কারণে উভয় ফেরিঘাটে বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের দীর্ঘ সারি রয়েছে। এতে পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকচালক এবং যাত্রীবাহী বাসের চালক ও যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এর মধ্যে ফেরি ভাড়া ܫবৃদ্ধি করায় চালকদের দুর্ভোগ আরও দ্বিগুণ হয়েছে।
রোববার (১৯ জুন) বিকেল থেকে দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের প্রায়🌌 সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী পরিবহনের দুটি সারি রয়ে𝐆ছে।
একাধিক ভুক্তভোগী চালক ও যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দৌলতদিয়া-পাট🦹ুরিয়া নৌরুটে ২০-২১টি ছোট-বড় ফেরি চলাচল করলেও হঠাৎ পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত এবং ৪টি রোরো (বড়) ফেরি বিকল হওয়ার কারণে দৌলতদিয়ায় যানবাহনের দীর্ঘ🐲 সারি রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা অফিস সূত্রে জানা যায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১২টি রোরো (বড়), ৬টি ইউটিলিটি (ছোট), ২টি ডাম্ব এবং ১টি কে-টাইপসহ মোট ২১টি ফেরি চলাচল করে। তবে রোরো (বড়) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ও রোরো (বড়) ডা. গোলাম মওলা 🍨ফেরি আরিচা ও কাজিরহাট নৌরুটে চলে যায়। রোরো (বড়) ফেরি শাহ্ মখদুম এবং ১টি ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি একটি বিকল🍬 থাকায় পাটুরিয়া ভাসমান কারখানা মধুমতিতে মেরামত করা হচ্ছে। যে কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরির সংখ্যা কমে গেছে।
সাকুরা পরিবহনের ষাটোর্ধ এক যাত্রী বলেন, “দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও ফেরিঘাটে যেতে পারছি না। আরও কত সময় লাগবে, তা কেউ বলতে পারছে না। গরমের মধ্যে আমার মতো অনেকে ꧂অসহায়ের মতো অপেক্ষায় আছে।”
পণ্যবাহী ট্রাকচালক সেলিম পাটোয়ারী বলেন, “এক মাস ধরে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় কোনো দুর্ভোগ হয়নি। ঘাটে এসেই ফেরিতে উঠতে পেরেছি। হঠাৎ এই নৌরুটের ফেরির সংকট হওয়ার কারণে যানজটে থাকতে 🅰হচ্ছে।”
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা বন্দরের উপপরিচালক শাহ খালেদ নেওয়াজ জানান, পদ্মা নদীতে স্রোত থাকার কারণে ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৫০টি ট্রিপ কম হয়েছে। এদিকে ২টি ফেরি আরিচা-কাজিরহাট নৌরুট এবং ২টি 𝄹ফেরি পাটুরিয়া ভাসমান কারখানা মধুমতিতে মেরামত করা হচ্ছে। যে কারণে কিছু যানবাহন উভয় ঘাটে পারের অপেক্ষায় রয়েছে।