কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে (কুসিক) গত নির্বাচনের ত🐻ুলনায় এবার ভোট বেড়েছে ২২ হাজারেরও বেশি। জয়-পরাজয়ের পার্থক্য গড়ে দিতে পারে নতুন ভোটারদের এই সংখ্যা। তাই তরুণ ভোটারদের প্রতি বিশেষ নজর রেখেছেন প🍌্রার্থীরাও।
জানা গেছে, গত নির্বাচনে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে ভোটার ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন। আর এবার ভোꦫটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জনে। এ নির্বাচনে ভোট বেড়েছে ২২ হাজার ৩৫৪ জন। নতুন ভোটারদের এই বিশাল সংখ্যা জয়-পরাজয় নির্ধারণে মূখ্য ভূমিকা রাখবে। কারণ আগের নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর চেয়ে তার নিকটতম পরাজিত প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ছিল মাত্র ১১ হাজার।
তবে তরুণ প্রজন্মের ভোটাররা ব𒊎লছে, রাজনীতি বা দল মূখ্য নয়- আসল সেবক🅠কেই তারা ভোট দিতে চান।
কুমিল্লা নগরীর নতুন ভোটার মামুনুর রশিদ বলেন, “এবারই প্রথমবারের মতো ভোট দেবো। বিষয়টি ভাবত🌳েই ভালো লাগছে। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৬ প্রার্থীর মধ্যে যিনি যোগ্য তাকেই নির্বাচিত করব।”
তানিয়া আক্তার নামের আরেক নতুন ভোটার বলেন, “যি🐠নি এই কুমিল্লাকে যানজট ও জলাদ্ধতা মুক্ত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন বলে ♛মনে করব- তাকেই ভোট দেবো। কারণ নগরীর প্রধান দুই সমস্যাই হলো- জানযট এবং জলাবদ্ধতা।”
জানা গেছে, কুসিক নির্বাচনের হেভিওয়েট প্রার্থীরাও নতুন ভোটারদের আকৃষ্ট করতে মনযোগ দিচ্ছেন বিশেষভাবে। প্রয়োগ করছেন নানা কৌশল🧜।
আওয়ামী লীগ𒁃 মনোনীত প্রার্থী আরফানুল𓄧 হক রিফাত বলেন, “এখনকার তরুণ-তরুণীরা ডিজিটাল। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের জন্য ডিজিটাল দেশ গড়ে দিয়েছেন। তাদের ভোট নৌকায় পড়বে বলেই মনে করি।”
সদ্য বিদায়ী মেয়র ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু বলেন, “এর আগে দুই মেয়াদে মেয়র থাকাকালে নগরীতে বিনোদনের ব্যবস্থা হয়েছে। গোমতী নদীর তীর ঘেঁষেও বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া তরুণ-তরুণীদের চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে নিউমার্কেটের ওপরে ‘কম্পি⭕উটার সিটি’ করে দিয়েছি। আশা করছি তাদের ভো🍸ট আমিই পাবো।”
এদিকে নির্বাচনে নতুন ভোটারদের কেন্দ্রে এসে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী।
তিনি বলেনဣ, “💜আশা করছি কুমিল্লায় ভোটের পরিবেশ অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ থাকবে। তাই নতুন ভোটারসহ সব ভোটারের প্রতি আহ্বান থাকবে, নির্ভয়ে কেন্দ্রে এসে আপনার প্রার্থীকে ভোট দিন।”
আগামী ১৫ জুন কুমিꦛল্লা সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যেꦗ প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা ও যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২৭ মে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। এরপর শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা।
এবার নির্বাচনে তিন পদে মোট ১৫৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে মেয়র পদে ৬ জন, ꧑সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১𓂃১১ জন এবং সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ৩৭ জন।