চোট জর্জরিত শ্রীলঙ্কা দলের এবারের বিশ্বকাপটা একদমই ভালো যাচ্ছে না। শুরুতেই হ্𒆙যাটট্রিক হার দিয়ে আসর শুরু করে লঙ্কানরা। এরপর টানা দুই ম্যাচ জিতে আবারও টানা দুই ম্যাচ আছে জয় শূন্য। সবশেষ ম্যাচে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০২ রানের ব্যবধানে হারের স্বাদ পায় ৯৬-এর বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচটিতে লঙ্কানরা মাত্র ৫৫ রানেই অলআউট হয়ে যায়। এশিয়া কাপের পর বিশ্বকাপেও ভারতের কাছে এমন বাজে ভাবে লঙ্কানরা বিধ্বস্ত হওয়ার পর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ ও নির্বাচকদের নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। এরই মাঝে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) সেক্রেটারি মোহন ডি সিলভা পদত্যাগ করেছেন।
শনিবার (৪ নভেম্বর) নির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ না করেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন এসএলসি সেক্রেটারি। ধারণা করা হচ্ছে, বিশ্বমঞ্চে দলের ব্যর্থতার কারণেই তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন। এর আগে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাহী কমিটির পদত্যাগ দাবি করেছিলেন শ্রীলঙ🍌্কার ক্রীড়ামন্ত্রী রোশান ফা𓃲র্নান্দো।
ওই বিবৃতিতে শুক্রবার শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, “শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট অফিশিয়ালদের পদে থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। তাদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা উচিত।” এর আগে ফার্নান্দো༺ দেশের শীর্ষ ক্রিকেট প্রশাসকদের ‘বিশ্বাসঘাতক ও দুর্নীতিপরায়ণ’ বলে অভিযুক্ত করেছিলেন।
শুক্রবার এসএলসি শ্রীলঙ্কার কোচিং স্টাফ-ℱনির্বাচকদের শোকজ করে একটি নোটিশ পাঠায়। যেখানে কুশল মেন্ডিসের দলের লজ্জাজনক পারফরম্যান্সে উদ্বেগ ও হতাশা🌸 প্রকাশ করেছে ক্রিকেট বোর্ড। বিশেষ করে তারা ভারতের বিপক্ষে ঘটা শোচনীয় হারের জন্য কোচিং স্টাফ ও নির্বাচকদের কাছে যথাযথ ব্যাখ্যা চেয়েছে। এসএলসি’র পাঠানো প্রেস রিলিজ থেকে জানা যায়, দল গঠনে কখনো হস্তক্ষেপ করে না এসএলসি ম্যানেজমেন্ট। তারা স্বাধীনভাবে কোচিং স্টাফ ও নির্বাচকদের কাজ করার সুযোগ দিয়ে আসছে। তারপরও বিশ্বকাপের মতো একটি মর্যাদাপূর্ণ আসরে শ্রীলঙ্কা দলের এমন ভরাডুবির কারণ এবং তা থেকে উত্তোরণের ব্যাখ্যা দিতে হবে।
মূলত বছরখানেক ধরেই বোর্ডের সঙ্গে ক্রীড়ামন্ত্রীর দ🔥্বন্দ্ব চরমে। এর কারণ গত বছরের অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়꧂েন্টি বিশ্বকাপ, লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ ও অন্যান্য ঘরোয়া টুর্নামেন্টের আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। ক্রীড়ামন্ত্রীর সমালোচনার জবাবে পালটা জবাব দিচ্ছিলেন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড অফিশিয়ালরাও। তবে এবার বিশ্বকাপ দলের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে পরিস্থিতি বদলে যায়।
শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া আইন অনুযায়ী, অন্য খেলার মতো ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনেই থাকবে এসএলসি। কিন্তু আইসিসির নিয়ম বলছে— বোর্ডে কোনো হস্তক্ষেপ থাকতে পারবে না দেশের সܫরকার। সে কারণে চাইꦑলেও খুব একটা প্রভাব দেখাতে পারে না মন্ত্রণালয়। ২০১৪ সালে নির্বাচিত বোর্ড ভেঙে অন্তর্বর্তীকালীন এক কমিটি গড়েছিল শ্রীলঙ্কা সরকার। তখন আইসিসি শ্রীলঙ্কার প্রাপ্য অর্থ প্রদান স্থগিত করেছিল।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা ৭ ম্যাচ খেলে ৫ হার ও ২ জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার ৭ নম্ব𒅌রে অবস্থান করছে। তাদের এখনো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।