আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে 𝓡এবং প্রভাবশালী দেশগুলোর সংসদে বাংলাদেশকে ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, “সঠিক তথ্য উদঘাটনের ⭕কাজ যদি সরকার করে, তবে তাদের প্রতিবেদনগুলো সন্দেহের চোখে দেখার আশঙ্কা খুবই বেশি। এটিকে ‘গুরুতর ইস্যু’।”
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক 🌟পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
ফেসবুক পোস্টে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার খবর যাচাই কর💯তে স্বাধীন সংবাদপত্র ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোকে আহ্বান জানান শফিকুল আলম। তিনি বলেন, “কেউ কেউ এসব প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পাঠানো বা দেশটিতে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন। আ🌌মরা এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।”
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, “সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সুশীল সমাজের নেতারা ধর্মীয় ঘটনাবলির সময় জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এসব ঘটনায় আমাদের কেউ কেউ অসাধারণ রাজনৈতিক পরিপক্বতার পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিবেদনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সংঘটিত সহিংসতাকে ‘পদ্ধতিগতভাবে অতিরঞ্জিত’ করা হয়েছে। তারা
শফিউল আলম♑ বলেন, “ধর্মনিরপেক্ষ ও উদারপন্থি সংবাদপত্রগুলো পরিষদের ধর্মীয় সহিংসতার অভিযোগগুলো নিয়ে নিজস্ব তদন্ত করবে। আমরা আশা করি, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোও একই ধরনের তদন্ত করবে “
শফিউল আলম বলেন, “ধর্মনিরপেক্ষ ও উদারপন্থি সংবাদপত্রগুলো পর🐼িষদের ধর্মীয় সহিংসতার অভিযোগগুলো নিয়ে নিজস্ব তদন্ত করবে। আমরা আশা করি, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোও একই ধরনেরཧ তদন্ত করবে।”
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস ꦰসচিব বলেন, “হিউম্যান রাইট ওয়াচ ২০১৩ সালে হেফাজতকর্মীদের গণহত্যার বিষয়ে একটি চমৎকার তদন্ত করেছিল এবং আশা করি একই ধরনের তদন্ত করবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিচারে আমরা এখনো আদর্শ দেশ নই। ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যের খবর পাওয়া যায়। কথিত ধর্ম ꦐঅবমাননাকর ফেসবুক পোস্টের কারণে নিয়মিত সহিংসতার ঘটনাও ঘটছে।”
শফিউল আলম বলেন, “নেত্র নিউজের রিপোর্টে দেখা গেছে, সংখ্যালঘু পরিষদ সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষজনিত সহিংসতায় ৯ জন সনাতন ধর্মাবলম্বী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছিল। তাদের মধ্যে প্রায় সবাই রাজনৈতিক, ব্যক্তিগত ও অন্যান্য কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন। ঐক্য পরিষদও এ বছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে একই ধরনের একটি ‘বিতর্কিত প্রতিবেদন’ তৈরি করেছে। ঐক্য পরিষদের প্রতিবেদনের সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। সম্প্রতি একজন ব্রিটিশ এমপি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে কথা বলেছেন। মনে হয় তিনি কাউন্সিলের প্রতি💃বেদনের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশি বার বিপ্লবোত্তর হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে।”
প্রেস সচিব আরও বলেন, “আমার জানা মতে, শক্তিশালী ও সম্পদশালী হিন্দু আমেরিকান গোষ্ঠী, ভারতীয় জাতীয় ও আঞ্চলিক সংඣবাদপত্র এবং শীর্ষ ভারতীয় মন্তব্যকারীরা এই রিপোর্ট উল্লেখ করে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা বর্ণনা করতে ব্যবহার করছেন। বিশেষজ্ঞরা আমাকে বলেছেন, ঐক্য পরিষদের প্রতিবেদনগুলো বাংলাদেশে সংখ্যালঘুবিরোধী সহিংসতা নিয়ে ভুল তথ্যের বৃহত্তম উৎস।”