• ঢাকা
  • বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ২২ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩, ০১:৪৪ এএম
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা
ছবি : সংগৃহীত

অলিখিত সেমিফাইনালে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পাকিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল শ্রীলঙ্কা। এই জয়ে তারা টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনাল পৌঁছে গেল। বাবর আজমদের ൩দর্শক বানিয়ে রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভারতের প্রতিপক্ষ হিসেবে ফাইনাল খেলবে দাসুন শানাকারা। 

এদিন লঙ্কানরা ব্যাটিংয়ে নেমেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। ৪০ ওভারে শ্রীলঙ্কা ৫ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান তোলে তখনও মনে হচ্ছিল তারা সহজেই জয় পাবে। কিন্তু ম্যাচের নাটকীয়তা তখনও বাকি। এরপর গত আসরের চ্যাম্পিয়নদের ১২ বলে ১২ রান প্রয়োজন হাতে আছে ৫ উইকেট তখনই বল করতে আসেন শাহীন আফ্রিদি। তিনি প্রথম তিন বলꦆে দেন তিন রান। এরপরের দুই বলে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও দুনিথ ওয়েল্লালাগেকে ফিরিয়ে ম্যাচে টান টান উত্তেজনা তৈরি করেন শাহীন। তিনি ৪১তম ওভারের সমাপ্ত করেন ৪ রান দিয়ে।

শেষ ওভারে শ্রীলঙ্কার জয়ের জন্য প্রয়োজন ৮ রান। পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে আসেন জামান খান। তিনি প্রথম তিন বলে ২ রান দিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন। এরপর চতুর্থ বলে প্রামোধ মাদুশান রান আউট হলে আরও রোমাঞ্চকর হয়ে উঠে ম্যাচ। শেষ দুই বলে লঙ্কানদের প্রয়োজন ৬ রানཧ। এই সময় পঞ্চম বলে ভাগ্যক্রমে চারিথ আসালঙ্কার ব্যাটের কোণায় বল লেগে থার্ডম্যান অঞ্চল দিয়ে চার হয়ে যায়। এবার লঙ্কানরা একটু বড় নিশ্বাস নেন। শেষ বলে আসালঙ্কা দুই রান নিলে শ্রীলঙ্কার দর্শকরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন।

এর আগে দুইবার বৃষ্টি হানা দেওয়াতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ৪২ ওভারে। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডি❀য়ামে আগে ব্যাট করে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আব্দুল্লাহ শফিকের অর্ধশতকে লঙ্কানদের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ২৫২ রান জড়ো করে পাকিস্তান। এরপর বৃষ্টি আইনে শ্রীলঙ্কার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪২ ওভারে ২৫২ রানের। জবাবে লঙ্কান টপ অর্ডারের ব্যাটারদের কল্যাণে ৮ উইকেটে ২৫২ রান তুলে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।

বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘন্টা পর মাঠে গড়ায় পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৯ রানে ওপেনার ফখর জামানকে হারায় পাকিস্তান। দ্বিতীয় উইকেটে বাবর আজমকে সঙ্গী করে শফিকের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছিলো। ৬৪ রানের জুটিও গড়ে ফেলেন এই দুজন। এরপরই ভেল্লালাগের বলে বাবর ফিরে যান। বাবরের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। পাকিস্তান অধিনায়কের বিদায়ের পর ওয়ানডেতে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নেওয়ার পর ২ রান যোগ করেই পাথিরানার বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুಞলে দিয়ে ডাগ-আউটে ফেরেন শফিক। এই ওপেনারের বিদায়ের পর মোহাম্মদ হারিসক ৩ রান ও মোহাম্মদ নওয়াজ ১২ রানে করে ফিরে যান।

এই সময় পাকিস্তান ১৩০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায়। এরপর ইফতেখার আহমেদকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন রিজওয়ান। তাদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের রান পেরই ২০০। এই দুই জনের জুটি যখন ১০৮ রান ছাড়ায় তখনি বিদায় নেন ইফতেখার। তার ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ে ৪৭ রান। এরপর দ্রুত ফিরে যান সাদাব 🅠খানও ৩ রানে। শেষ পর্যন্ত রিজওয়ানের ৭৩ বলে অপরাজিত ৮৬* রানের সুবাদে ৭ উইকেটে ২৫২ রান তোলে পাকিস্তান। মাথিসা পাতিরানা লঙ্কান🦩দের হয়ে নেন তিন উইকেট।

জবাবে পাকিস্তানের দ🌳েওয়া মাঝারি রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লঙ্কান দুই ওপেনার ভালো 𒁏শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। পাথুম নিসাঙ্কা করেন ২৯ রান ও কুশল পেরেরা ১৭ রান করে আউট হন। এরপর শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার দুই ব্যাটার কুসল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিকক্রমা জুটি গড়ে দলকে ফাইনালের পথে এগিয়ে নিয়ে যান। এই জুটি থেকে লঙ্কান স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ১০০ রান।

সামারাবিকক্রমা ৪৮ রান করে ইফতেখারের বলে আউট হলে এই জুটি ভাঙে। এরপর আসালঙ্কাকে নিয়ে ৩৩ রানের জুটি গড়েন মেন্ডিস। এই জুটির মৃত্যু হয় ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরির ৯ রান দূরে থেকে মেন্ডিস আউট হলে। এই ব্যাটার ৮৭ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ১ ওভারবাউন্ডারিতে ৯১ রানের ইনিংস খেলেন। মেন্ডিসের বিদায়ের পর অধিনায়ক দাসুনಌ শানাকা ২ রান করে প্যাভিলিয়ানের পথ ধরেন। অধিনা♏য়ক ফিরে গেলেও আসালঙ্কা অপরাজিত ৪৯* রান করে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।

Link copied!