শেষ বাঁশি বাজতে তখন আর মিনিট তিনেক বাকি। আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু ফুটবল বিধাতা ম্যাচের ভাগ্যে যেন অন্য কিছুই লিখে রেখেছিলেন। যোগ করা সময়ে দারুণ গোলে সমতায় ফেরে ইকুয়েডর। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। পেনাল্টি শুট আউটে ৪-২ গোলের জয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা। ১০ জুলাই প্রথম সেমিফাইনালে মেসিদের প্রতিপক্ষ হতে যাচ্ছে ভেনেজুয়েলা-কানাডা ম্যাচের বিজয়ী দল।
হিউস্টনের এনআরজি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে অনুষ্ঠিত ম্যাচের শুরুর কিছুটা সময় ইকুয়েডরই রাজত্ব করেছে। এনার ভ্যালেন্সিয়া, কেইসোডো এবং ১৭ বছরের তরুণ কেন্ড্রি পায়েজ ইকুয়েডরকে এগিয়ে রেখেছিলেন। এ সময় তারা তিনটি বড় সুযোগ সৃষ্টি করে। ২৬তম মিনিটে আর্জেন্টিনা বলার মতো আক্রমণ শানায়। কিন্তু ২৯ মিনিটের আগ পর্যন্ত তারা উল্লেখযোগ্য সুযোগ𒁏ই তৈরি করতে পারেনি।
ইনজুরি থেকে ফেরা মেসিকে খুব একটা ছন্দে দেখা যাচ্ছিল না। তবে ৩৫তম মিনিটে মেসির কর্নার থেকেই এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ম্যাক অ্যালিস্টারের হেডে বল চলে যায় দূরের পোস্টে অরক্ষিত অবস্থায় থাকা লিসান্দ্রো মার্টিনেজের কাছে। সেখান থেকেই দারুণ শটে বল জালে পাঠান ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই ডিফেন্ডার। এটা তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম গোল।
বিরতির পর ফের চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করতে থাকে ইকুয়েডর। গোল পরিশোধে মরিয়া দলটি ৬২ মিনিটে দারুণ সুযোগ পায়। রদ্রিগো ডি পলের হাতে বল লাগায় পেনাল্টি পায় ইকুয়েডর। কিন্তু ভ্যালেন্সিয়ার স্পট কিক গিয়ে লাগে গোলবারে। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ হেডে এমি মার্টিনেজকে বোকা বানিয়ে ম্যাচে সমতা ফেরান ইকুয়েডর ফরোয়ার্ড কেভিন রদ্রিগেজ। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
প্রথম শট নেন মেসি। কিন্তু তার শট গিয়ে লাগে গোলবারে। ಌএরপর প্রতিপক্ষের শট ফেরান ‘দিবু’ মার্টিনেজ। তৃতীয় শটে আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম গোলটি করেন জুলিয়ান আলভারেজ। কিন্তু মার্তিনেসকে ফাঁকি দিতে পারছিল না ইকুয়েডর। শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। আরও একবার বর্তমান শিরোপাধারীদের জয়ের নায়ক হয়ে গেলেন মার্তিনেস।