ডেভিড ওয়ার্নার শু♌ধু একজন ভালো ওপেনারই নন, তাকে বলা যায় খ্যাতিমান ক্রিকেট বোদ্ধাও। তিনি ক্রিকেট খেলেন শুধু শক্তি দিয়ে নয়, মগজ দিয়েও। গেল বছর স্বাগতিক ভারতকে হারিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপ জয়ের জন্য আইপিএলকে কৃতিত্ব দিলেন অজি ওপেনার ওয়ার্নার।
বিশ্বকাপে টানা ১০টি ম্যাচ জিতে ফ❀াইনালে উঠেছিল ভারত। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনালে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় রোহিত শর্মাদের। সেই ম্যাচে ওয়ার্নার খুব বেশি রান করতে পারেননি যদিও। কিন্তু অন্য ওপেনার ট্র্যাভিসꦉ হেড ১২০ বলে ১৩৭ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেন। ২৪১ রান তাড়া করতে নেমে ৪২ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া।
সেই জয় প্রসঙ্গে ওয়ার্নার বলেন, ‘আমরা আইপিএল খেলেছি। জানি ভারতের পিচ কেমন। আবহাওয়া, পরিস্থিতি, পিচ, সবই আমাদের পরিচিত। লাল মাটি হলে কেমন পিচ হবে, কালো মাটি হলে কেমন হবে আমরা সবই জানতাম। এগুলোই আমাদের সাহাꦚয্য করেছে।’
টেস্ট এবং একদিনের ক্রিকেট থ🍃েকে অবসর নিয়েছেন ওয়ার্নার। এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবেন। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল হয়েছিল আহেমেদাবাদে। সেটাও অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে গিয়েছিল বলে মনে করছেন ওয়ার্নার।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছু হারানোর ছিল না। ২০০৯ সাল থেকে আমরা ভারতের মাঠগুলো ভালো করে চিনতে শুরু করেছি। আহমেদাবাদ এমন এ൲কটা মাঠ, যেখানে অস্ট্রেলিয়ার মতোই বাউন্ডারি। আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম মেলবোর্নের মাঠকে মাথায় রেখে। বল করার সময় ভারতকে আমরা দূরের বাউন্ডারিতে মারতে বাধ্য করছিলাম। বুকের উচ্চতায় বল করছিলাম। ব্যাট করার সময় ফাঁক খুঁজছিলাম মেলবোর্নকে মাথায় রেখেই। সে🍌ই কারণে সহজে দু’রান নিতে পারছিলাম।’
ওয়ার্নার মনে করেন না অস্ট্রেলিয়ার জয়টা নিছক কোনো ঘটনা। তার মতে, ‘অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা পরিকল্পনা কাজে লাগাতে সফল হয়েছিল। অজি এই ওপেনার বౠলেন, আমাদের দল খুবই অভিজ্ঞ। যেভাবে খেলব ভেবেছিলাম, ঠিক সে ভাবেই খেলতে পেরেছি। কারণ আমরা উইকেটটা বুঝতে পেরেছিলাম।’