এশিয়া কাপে বাংলাদেশের 🐎প্রথম ম্যাচে একাদশে জায়গা হয়েছিল মোস্তাফিজুর রহমানের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সে ম্যাচে ৩ ওভার বোলিং করার সুযোগ পেয়েছিলেন মোস্তাফিজ। সেদিন ৩ ওভারে ১২ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার ইনিংসে ২০তম ওভারের পর মোস্তাফিজকে আর বোলিংয়ে আনেননি অধিনায়ক সাকিব আল ꧒হাসান। এরপর ৩ ম্যাচ বাংলাদেশের ডাগ আউটে বসে কাটিয়েছেন। তাই দর্শকদের মনে প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে কি মোস্তাফিজ দল থেকে বাদ পড়লেন।
দর্শকদের ভুলটা ভেঙেছে শুক্রবারে (১৫ সেপ্টেম্বর) এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচেই। এদিন মোস্তাফিজ শুধু একাদশেই ছিলেন না, দলের জয়ে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। ভারতের সঙ্গে ৮ ওভারে ৫০ রান দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৩টি উইকেটও তুলে নেন। বিশেষ করে ফিজের করা ৪৯তম ওভারটি বাংলাদেশের ম্যা♋চ জয়ে আশা দেখায়। সে সমღয় ভারতের ১২ বলে প্রয়োজন ১৭ রান হাতে ৩ উইকেট। মুস্তাফিজ ৪৯তম ওভারে বল করতে এসে ৫ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করে নেন। এই দুই উইকেটের মধ্যে টাইগারদের ম্যাচ জয়ে সামনে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ানো অক্ষর প্যাটেল ও শার্দূল ঠাকুরকে ফেরান কাটার মাস্টার। এতেই বাংলাদেশ ৬ রানে ভারতের কাছ থেকে ম্যাচ জিতে নেয়।
জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে কোচ চন্ডিকা হাথুর🅠ুসিংহে জানান, মোস্তাফিজকে দল থেকে বাদ দেওয়া না সবাইকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলাতেই তাকে বিশ্রামে রাখা হয়েছিল। হাথুরু বলেন, “মোস্তাফিজকে কখনো বাদ দেওয়া হয়েছিল, বিষয়টা তা নয়। আমরা চেষ্টা করছি সবাইকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলাতে। তাকেও বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেসার তো মোস্তাফিজই। আমরা জানি মোস্তা🧜ফিজ কী করতে পারে, এ ম্যাচে সে সেটাও করে দেখিয়েছে।”
ভারতের সঙ্গে এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ১১ বছর পর জয় পেয়েছে। তবুও হাথুরুসিংহে একজনের পারফরম্যান্সে একটু হতাশ হয়েছেন। এশিয়া কাপে প্রথম তিন ম্যাচ খারাপ💛 করার পর শেষের দুই ইনিংসে তিনি ফিফটিও তুলে নিয়েছেন। ভারতের বিপক্ষে তাওহীদ হৃদয় ৮১ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। এখানেই ঠিক হাথুরুসিংহের হতাশাটা। হৃদয় সেট হয়েও ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। তার ব্যাটে ইনিংসটা আরও বড় হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন হাথুরু। কোচ বলেন, “হৃদয় নিজের দায়িত্ব ও খেলা সম্পর্কে সচেতন। অভিষেকের পর থেকেই সে রান করছে। সত্যি বলতে আমি আজ (শুক্রবার) তাকে নিয়ে একটু হতাশ। কারণ, ফিফটির পর ও উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছে। সে আমাদের আরও রান এনে দিতে পারত। তবে সে জানে, তার কী করণীয়, দলের জন্য কী কী করতে হবে।”