ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) ১১ আসরের মধ্যে ৬ বার ফাইনালে উঠে গায়না অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। তবে আগ♏ের ৫ ফাইনালে হেরে প্রতিবারই গাইনাকে হতে হয়েছে শিরোপা বঞ্চিত। ফাইনালে বার বারই হতাশ হয়ে ফেরা দলটা ষষ্ঠ বারে এসে অধরা শিরোপার স্বাদ পেয়েছে। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সিপিএলের ১১ তম আসরের ফাইনালে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সকে ৯ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স।
এর আগে সিপিএলের ফাইনালে নাইট রাইডার্স মানেই ছিল শিরোপা জয়। তারা চারবার ফাইনাল খেলে প্রতিবারই দলটা শিরোপা ঘরে তুলেছিল। তবে এবারের ফাইনালে গায়ানার কাছে পাত্তায় পায়নি ত্রিনবাগো। গায়ানা অ্যামাজনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে টিকতেই পারেনি ত্রিনবাꦺগো নাইট রাইডার্স। ১০০ এর নিচেই থেমেছে তাদের ইনিংস। আর সেটা টপকাতে গায়ানাকে খুব একটা কষ্ট করতে হয়নি।
এদিন টস জিতে বোলিং করার সিদ👍্ধান্ত নিয়েছিলেন গায়ানা অধিনায়ক ইমরান তাহির। তবে চ্যাডউইক ওয়ালটন এবং মার্ক দেয়ালের উড়ন্ত সূচনা করে ২৫ রানেই প্রথম উইকেটের পতন ত্রিনবাগোর। ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের প্রথম আঘাত হানেন।
২৯ থেকে ৪৯ রানের মধ্যে ত্রিনবাগো হারিয়েছে ৫ উই🤪কেট। ৫০ পেরুনജোর আগেই তাদের ৬ ব্যাটার ডাগআউটে ফিরে গিয়েছেন। ক্রিজে এসে ব্যর্থতার তালিকায় নাম লিখিয়েছেন নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, কাইরন পোলার্ডদের মত বড় তারকারা।
তবে ক্রিজের একপ্রান্ত আগলে ছিলেন কেসি কার্টি। ডোয়াইন ব্রাভোকে নিয়ে তার ৩২ রানের জুটি ত্রিনবাগোকে দেখাচ্ছিল ১০০ পেরুনোর স্বপ্ন। তবে ৮১ রানওে ব্রাভোকে হারিয়ে আরও বেশি চাপে পড়ে যায় গায়ানা। সেই চাপ আর কাটিয়ে ওঠা হয়নি তাদের। ত্রিনবাগো অলআউট হয়েছে মাত্র ৯৪ রানে। গায়ানার হয়ে ৪ উইকেট পান প্রিটোরিয়াস।
ব্যাট হাতে গায়ানার ইনিংস ছিল অনে🥃কটাই পিকচার পারফেক্ট। আকিল হোসাইনের বলে কিমো পল উইকেট না খুইয়ে আসলে পুরো মার্কসই পেতেন গায়ানার ব্যাটাররা। উইকেট তারা হারিয়েছে ওই এꦡকটিই। সামি আইয়ুবের ৫২ আর শাই হোপের ৩২ গায়ানাকে এনে দেয় ৯ উইকেটের সহজ জয়।
ম্যান অব দ্য ফাইনাল হয়েছেন ২৬ রানে ৪ উইকেট নেওয়া প্রিটোরিয়াস। ম্যান অব দ্য সিরিজ গায়ানার শাই হোপ। ৪৮১ রান নিয়ে টুর্নামেন্টের সর্ব🍎োচ্চ রান সংগ্রাহক হোপ।