শেখ ꧅হাসিনার পতনের পর প্রাণ রক্ষার্থে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিচারক, পুলিশ সদস্যসহ ৬২৬ জন সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
রোববার (১৮ আগস্ট) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআর জানায়, প্রাণ রক্ষার্থে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিচারক, পুলিশ সদস্যসহ ৬২৬ জন সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৬১৫ জন স্ব-উদ্যেগে সেন🐟ানিবাস ছেড়েছেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানায়, সারা দেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন বৈদেশিক মিশনসমূহের নিরাপত্তা জোরদারের জন্য অনুরোধ করা হয়। সে সময় অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপস্থিতিতে সেনাবাহিনীর কাছে তারা নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সহায়তা চায়। ফলে ঢাকায় অবস্থিত কূটনৈতিক🐎 এলাকা ও দূতাবাসের নিরাপত্তা বিধানে সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়, যা বর্তমানেও চলমান।
এতে আরও বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনের অনুরোধে শুধু অসামরিক সদস্যদের ঢাকা সেনানিবাসসহ অন্যান্য সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া হয়। এর পাশাܫপাশি কিছু সদস্য নিজ নিজ কনস্যুলেট ভবনে এবং বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করায় সেই স্থানগুলোর নিরাপত্তা দেওয়া হয়।
তা ছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত কয়েকজন রাশিয়ান বিশেষজ্ঞকেও নিরাপত্তা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে সেনাবাহিনী সংশ্লি♋ষ্ট মন্ত্রণালয়কে সব তথ্য প্রদান করেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশে আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নের 🎀পাশাপাশি বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে নিরপেক্ষ, পেশাদারির সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এ ক্ষেত্রে গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে ধৈর্যশীল ও সহযোগী মনোভাব প্রদর্শনের জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে। দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা জনসাধারণের পাশে আছে, থাকবে।