বগু🧸ড়া জেলা কারাগারটি বহু পুরাতন। করতোয়া নদীর পাড়ে লাল রঙের কারাভবনটি তৈরি হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে ১৮৮৩ সালে। নির্মাণের পরই থেকে কারাগারটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম চালু হয়। এরপর গত প্রায় দেড়শ বছর ধরে রঙ করা ছাড়া কাঠামোগত বড় কোনো সংস্কার হয়নি। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই চলছিল কার্যক্রম।
কারা সংশ্লিষ্টদের তথ্য অনুযায়ী, কারাভবনটির অবস্থা🎀 নাজুক ছিল। ভবনের অনেক অংশ ক্ষয়ে গেছে। ছাদের অনেক স্থানে রডও ছিল না। ফলে অনেকটা নড়বড়েই ছিল ভবনের অনেক অংশ। আর সেই দুর্বলতারই সুযোগ নিয়েছেন ফাঁসির আসামিরা।
গত মঙ্গলবার (২৫ জুন) দিনগত রাতে কারাগারের ছাদ ফুটো করে পালিয়ে যান মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ আসামি। কয়েক ঘণ্টা পরেই ভোর চারটা🦄র দিকে অবশ্য আসামিদের শহরের চেলোপাড়া চাষি বাজারের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে কারাগারের ছাদ ফুটো করে আসামিদের পালিয়ে যাওয়ার বিষয় নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
গত ১ জুন ওই চার আসামিকে জেলা কারাগারে নিয়ে আসা হয়। তাদের রাখা হয় একই কারা সেলে। পুলিশ ও অন্যান্য সূত্রমতে, একই সেলে থাকার কারণে তারা একসঙ্গে পালানোর কৌশল খুঁজতে থাকেন। তাদের সামনে দরজা 𝕴খুলে দেয় ভবনের নাজুক অবস্থা।
সূত্রমতে, আসামিরা নিজেদের বিছানার চাদর ছিঁড়ে প্রথমে দড়ি বানায়। এরপর গামছার ভেতর শক্ত কিছু ভরে কৌশলে কারাগারের ছাদ ফুটো করে। ঘটনার রাতে তারা আগে থেকে বানানো বিছানার চাদরের দড়ি দিয়ে সেই ফুটো গলিয়ে কারাভবন থেকে নিচে নামে। এরপর তারা কারাগারের পূর্ব পাশে করতোয়া নদীর ওপর ছ൲োট ব্রিজের নিচ দিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরই কারাভবন পরিদর্শন করেছেন বগুড়া জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাইফুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, “আসামিরা ছাদের যে অংশে ফুটো করেছে সেখানে কোনো রড ছিল না। আমরা এসব স্থান সংস্কারের কথা বলেছি। এছাড়া আসামিরা যেদিক দিয়ে পালিয়ে গেছে সেখানে নিরাপত্তা চৌকি স্থাপনের কথা বলা🌸 হয়েছ♍ে।”
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ৫৬ মিনিটে পুলিশের কাছে খবর আসে জেলা কারাগার থেকে♛ চারজন মৃত্যুদﷺণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামি পালিয়ে গেছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সদর থানা ও ফাঁড়ির পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। তারা শহরের বিভিন্নস্থানে একাধিক অভিযান পরিচালনা শুরু করে।
অভিযানের এক পর্যায়ে ভোর ৪টা ১০ মিনিটের দিকে সদরবাড়ীর উপ-পরিদর্শক (এসআই) খোরশেদ আলম শহরের চেলোপাড়ায় করতোয়া নদীর পাড়ে চাষি বাজার থেকে চার আসামিকে আটক করেন। এরা হলেন- কুড়িগ্রামের নজরুল ইসলাম মঞ্জু (৬০), নরসিংদীর মো. আমির হামজা (৩৮), বগুড়ার ফরিদ শেখ (২৮) ও মো. জাকারিয়া ꧟(৩১)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেౠ নিশ্চিত হওয়া যায় চারজনই কারাগার থেকে পালানো সেই চার আসামি। এরপর তাদের ডিবি অফিসে নিয়ে আসা হয়। জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঘটনা জানা মাত্রই খুব দ্রুততম সময়ে আমাদের পুলিশ সদস্যরা চার আসামিকে আটক করতে সক্ষম হন। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পি এম ইমরুল ✤কায়েসকে প্রধান করে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।