• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


‘অগ্নিকাণ্ডের নির্মম বাস্তবতা থেকে জাতি মুক্তি চায়’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম
‘অগ্নিকাণ্ডের নির্মম বাস্তবতা থেকে জাতি মুক্তি চায়’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। ফাইল ফটো

অগ্নিকাণ্ডের নির্মম বাস্তবতা থেকে জাতি মুক্তি চায় ꦕবলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেছেন, “আমাদের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্🌄থা ভেঙে পড়েছে। প্রমাণ হয়েছে, অগ্নি নির্বাপণে বর্তমান সক্ষমতা একেবারেই অপ্রতুল। এতে প্রতি বছর শতশত মানুষের প্রাণ যাচ্ছে ভয়াবহ আগুনে। পুরো দেশটাই যেন অগ্নি ঝুঁকিতে।”

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিভিন্ন অগ্নিকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, “সোমবার (৪ মার্চ) চট্টগ্রামের কর্ণফুলি থানা এলাকায় একটি চিনিকলের আগুন পুড়ে পুড়েই নিভেছে। সেখানে অগ্নিনির্বাপণ কর্মীদের অসহায় মনে হয়েছে। ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনে পুড়ে মারা গেছেন ৪৬ জন। মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন আরও কয়েকজন। ২০১০ সালের ৩ জুন রাতে চানখারপুলের নিমতলীতে ক্যামিকেলের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়♌েছে অর্ধশত এবং কার⛄খানা ও বাড়ি পুড়েছে ২৩টি।”

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন,✃ “২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চকবাজারের চুরিহাট্টা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জন মারা যান। আহত হয়েছেন কয়েকশো মানুষ। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ দুপুরে বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে মারা যায় ২৬ জন, আহত হয়েছে অন্তত ৭০ ꦜজন। ২০২১ সালের ২৭ জুন সন্ধ্যায় মগবাজারের রাখি নীড়ে অগ্নিকাণ্ডে মারা যায় ১২ জন, আহত দুই শতাধিক। ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে এক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ব্যবসায়ীরা। ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ২২৬টি দোকান পুড়ে ক্ষতি হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকার।”

বিবৃতিতে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, “শুধু অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ ও সম্পত্তি হানি হচ্ছে তাই নয়। এদেশের মানুষ আজ কোথাও নিরাপদ নেই। দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রেলে কাটা পড়ে মৃত্যু, লঞ্চ দুর্ঘটনায় পানিতে ডুবে মারা যাওয়া হরহামেশাই ঘটছে। সড়ক দুর্ঘটনার ফিরিস্তি ও এতে হতাহতের সংখ্🔯যা প্রতিদিনই নতুন উচ্চতায় উঠছে। দুর্ঘটনা এখন স্বাভাবিক ঘটনায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ꦦছে।”

অগ𝕴্নিকাণ্ডের কারণ তুলে ধরে গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, “এর প্রধান কারণ হচ্ছে, সু-শাসনের অভাব। জবাবদিহিতা নেই কোনো স্তরে। দুর্নীতির বিস্তার হচ্ছে অপ্রতিরুদ্ধ গতিতে। কারোরই নিয়মকানুন মানার প্রয়োজন নেই, যদি ক্ষমতা বা অবৈধ অর্থের জোগান থাকে।”

গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরও বলেন, “কোনো ভালো কিছু ঘটলে তার কৃতিত্ব নেওয়ার ও꧙ দেওয়ার লোকের অভাব নেই। দুর্ঘটনার জন্য কেউই দায় নিতে চান না। একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে সময়ক্ষেপণ করা হয়। তাই, দুর্ঘটনা আবার স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে অন্য কোথাও ঘটতে শুরু করে।” 

Link copied!