বিএনপি-জামায়াতের ডাকা দুই দি🌃নের অবরোধের সোমবার (৬ নভেম্বর) ছিল শেষদিন। এদিন রোববার (৫ নভেম্বর)-এর চেয়ে বাজারে কমেছে সবজির দাম। এছাড়াও ক্রেতাদের উপস্থিতিও ক💟ম লক্ষ্য করা গেছে।
রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের উপস্থিতি কম থাকায় অনেক ব🦹্যবসায়ীকে বসে গল্প করতে দেখা গেছে। বাজারে অধিকাংশ পণ্যের দাম কম থাকার🔜 পরও ক্রেতা না পাওয়ায় লোকসানের শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
আজমপুর কাঁচা বাজারে রাজিব নামের এক ব্যবসায়ী গল্প করছিলেন বকুল নামের আরেক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তাদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, বিএনপির অবরোধ চলছে। সাধারণ মানুষ এখন হরতাল-অবরোধে খুব একটা বেশি বের হতে চায় না। রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্রেতাদের যা উপস্থিতি লক্ষ্য করেছিলাম আমরা, আজ𝐆কে স✱েটাও নেই। অথচ রোববারের চেয়ে সোমবার বাজারে কাঁচা সবজির দাম কমেছে।
পণ্যের দাম 𒆙কমার কারণ হিসেবে এক ব্যবসায়ী সংবাদ প্রকাশ বলেন, “বাজারে লোকজন না থাকলে বেচাকেনা 𒁃কম হয়। আর রোববার যে সবজি নিয়ে এসেছি, সেটা আজও আছে। তাই সবজি যেন নষ্ট না হয় এজন্য কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছি।”
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে𓄧 তিনি আরও বলেন, “ বাজার প্রতিদিন যেমন যায় সেই হিসেবে সবজি বা অন্যান্য জিনিসের দাম বাড়ে। এখানে অতিরিক্ত দাম বাড়ানোর কায়দা থাকে না। তবে আমরা যেখানে সবজিতে ৫টাকা লাভ করতাম, সেখানে আজ ২ টাকা লাভ করছি। এজন্য দাম কম।”
বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে 🌃১৪০ টাকা, নতুন আলু ১৪০ টাকা, সিম ৮০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, পোটল ৩০-৫০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, ফুলকপি ৩৫-৪০, লাউ ৫০-৬০ টাকা, মুলা শাক ১০ টাকা, পালংশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, আলু ৫০ টাকা, এলসি আদা ২২০ টাকা, দেশি রসুন ২০০ টাকা, এলসি রসু꧃ন ৭০ টাকা, দেশি কাঁচা মরিচ ৮০-৯০ টাকা, এলসি কাঁচা মরিচ ১১০-১২০ টাকা।
🌠কারওয়ান বাজারে সবজি কিনতে এসেছেন মো. শাকিল খান। এক কেজি দেশি কাঁচা মরিচ কিনেছেন ৯০ টাকায়। তিনিই আবার গত শুক্রবার একই কাঁচা মরিচ কিনেছিলেন ১৬০ টাকায়। তিনদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচে ৭০ টাকা কমায় অনেক আশ্চর্যই হলেন তিনি।
শাকিল খানের সঙ্গে কথা হলে তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “আপনি চিন্তা করতে পারবেন না। গত শুক্রবার যে দামে কাঁচা মরিচ কিনেছিলাম সেই একই কাঁচা মরিচের আজ দাম কম। মাঝখানে পার্থক্য শুধু তিনদিনের। জানি না আজ এমন দাম কম কেন🐎। তবে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে করলেই পারে কম লাভে আমাদের কাছে পণ্য বিক্রি করতে।”
তিনি আরও বলেন, “ব্যবসায়ীরা চিন্তা করে কিভাবে ১০ টাকার জায়গায় ২০ টাকা লাভ করা যায়। যখন যেভাবে পারেন সে1ভাবেই যতখুশি ইনকাম করে নেন। তাদের চিন্তা🌄 তারা ঠিকই করছেন। অথচ আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কি কষ্টে দিনপার হচ্ছে এই চিন্তা কেউই করেন না।”
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “অবরোধের দিন সব জিনিসের দাম বাড়ার কথা। সেখানে আজ হয়েছে উল্টোটা। দাম বাড়েনি, বরং কিছুটা কমেছে। অথচ অবরোধের দিন ব্যবসায়ীরা পণ্য সংকটের অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়꧂ায়। যেটি গতকাল রোববার হয়েছে।”