• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০২৪, ৫ ভাদ্র ১৪৩১, ১৫ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


১৫ লাখ টাকার ছাগল নিয়ে তোলপাড়, এবার মুখ খুললেন সেই ইফাত


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৪, ১০:০২ এএম
১৫ লাখ টাকার ছাগল নিয়ে তোলপাড়, এবার মুখ খুললেন সেই ইফাত
ছবি : সংগৃহীত

এক ছাগলের দাম ১৫ লাখ টাকা, যা পরবর্তী সময়ে বিক্রি হয় ১২ লাখ টাকায়। ছাগলটি কিনেছেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক যুবক। দেশ রূপান্তর জানিয়েছে, ইফাত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তার সন্তান। তার ছাগল কেনার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ছাগল কিনে আলোচনায় আসা ইফাত ছাগলের পাশাপাশি আরও চারটি গরু কিনেছেন ৩৭ লাখ টাকায়। সব মিলিয়ে এবার অর্ধকোটি টাকার কোরবানি দিচ্ছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঈদে ১৫ লাখ টাকার এই ছাগলটি কুরবানি করছেন ইফাত, এমন পোস্টের পর দেশজুড়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। যদিও সাদিক অ্যাগ্রো বলছে, ১ লাখ টাকা বায়না করেও শেষ পর্যন্ত আর ছাগলটি কেনেননি তিনি। 
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায়, একজন রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত একটি খাসি সামনে দাঁড়িয়ে ছবি পোস্ট করেন। যার দাম বলা হয় ১৫ লাখ টাকা। স্ট্যাটাস দিয়ে জানান ঈদে এই পশুটি কুরবানি দেবেন।
পরে রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলের এই স্ট্যাটাস ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সরকারি কর্মকর্তার ছেলে কীভাবে এত টাকা দিয়ে খাসি কুরবানি দেয়, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এরই মধ্যে জানা ♋যায় সেই ভাইরাল হওয়া খাসিটি কেনেননি ইফাত। যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোনে তিনি জানান, সাদিক অ্যাগ্রোতে কর্ণধার ইমরানের অনুরোধে ছবি তুলেছেন তিনি খাসিটি কেনার জন্য না।

১৫ লাখ টাকার আলোচিত সেই ছাগল। ছবি: ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন
তিনি বলেন, “সাদিক অ্যাগ্রোর যিনি মালিক ইমরান ভাই। তার কথা অনুযায়ী আমি ছবি তুলি। পরে সবাইকে বলি খাসিটি কিনেছি। আসলে খাসিটি কেনা হয়নি, সেটা বাসায়ও আনা হয়নি। সেটি কোরবানিও দেওয়া হয়নি। উনি আমাকে বলেছে দেখে আমি করতে বাধ্য হয়েছি। বাট তার কারণে আজকে আমাকে এদিন দেখতে হবে, তা আমি কোনো দিনও বুঝিনি।” 
পরে যোগাযোগ করা হলে সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান জানান, খাসিটি ১২ লাখে কেনার জন্য এক লাখ টাকা বায়না করেছিলেন ইফাত। পরে বিষয়টি ভাইরাল হলে আর খাসিটি নেননি তিনি। কোরবানির আগপর্যন্ত অ্যাগ্রো থেকে বারবার যোগাযোগ করা হলেও রেসপন্স করেননি ইফাত।
ইমরান বলেন, “ইফাত নামের একটি ইয়াং ছেলে ২০ থেকে ২২ বছর হয়তো বয়স হবে। ও আমার কাছে ছাগলটা কিনছে, দামাদামি করছে। আমাকে এক লাখ টাকা বুকিং দিয়ে গেছে। ১২ তারিখে বাকি টাকা দিয়ে ছাগলটা নেওয়ার কথা। ১১ তারিখ দিবাগত রাত থেকে আমরা তাকে আর যোগাযোগ করতে পারছি না। ছাগলটা এখনো আমাদের খামারে আছে। সে ছাগলটা ব্যালান্স টাকা দিয়ে ডেলিভারি নেয় নাই।”
এদিকে ইফাতের ফেসবুক ঘেঁটে দেখা যায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমান তার বাবা। যদিও গণমাধ্যমে ইফাত তারꦰ ছেলে নয় বলে দাবি ক⛦রেছেন মতিউর রহমান।

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!