• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৪, ১ ভাদ্র ১৪৩১, ১০ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


ইবাদত কবুলে কোরবানির সময় যা অবশ্যই মানতে হবে


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৪, ০৯:৫০ পিএম
ইবাদত কবুলে কোরবানির সময় যা অবশ্যই মানতে হবে

ইসলামী শরিয়ত সামর্থ্যবান মুসলমানের ওপর কোরবানি আবশ্যক করেছে। সামর্থ্য থাকার পরও যারা কোরবানি করে না, রাসুলুল্লাহ (সা.) তাদের ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তবে এই ইবাদত কবুলের জন্য তা যথাসময়ে সঠ🐼িক পদ্ধতিতে করা আবশ্যক। নিম্নে পশু কোরবানির সময় ও পদ্ধতি তুলে ধরা হলো—

কোরবানির সময়

কোরবানির সময়কাল হলো জিলহজের ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত। এই তিন দিন꧅ের যেকোনো দিন কোরবানি করা জায়েজ। তবে প্রথম দিন কোরবানি করা সর্বাপꦡেক্ষা উত্তম। তারপর দ্বিতীয় দিন। তারপর তৃতীয় দিন।

জিলহজ মাসের ১�ꦜ�২ তারিখ সূর্যাস্তের পর কোরবানি করা শুদ্ধ নয়। (ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি : ৫/২৯৬)

একইভাবে ঈদুল আজহার নামাজের আগে কোরবানি করা বৈধ নয়। অবশ্য যে স্থানে ঈদের নামাজ বা জুমার নামাজ বৈধ নꦡয়, সে স্থানে ১০ জিলহজ ফজরের নামাজের পরও কোরবানি করা জায়েজ। (কুদুরি, পৃষ্ঠা ১৯৮)

নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক🅰 কোনো ব্যক্তি ১০ ও ১ꦦ১ জিলহজ যদি সফরে থাকে তারপর ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগে বাড়িতে আসে, তবে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে।

যদি কোনো মুকিম ব্যক্তি𒈔 গরিব হয় এবং ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগে আল্লাহ তাকে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক বানিয়ে দেন, তবে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া : ৫/২৯২)

কোরবানির পশু জবাইয়ের পদ্ধতি

নিজের কোরবানির পশু নিজ হ💙াতে জবাই করা মুস্তাহাব। যদি নিজে জবাই করতে না পারে ꦯতবে অন্যের দ্বারা জবাই করাবে। এ অবস্থায় নিজে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ৫/২৭২)

জবাই করার সময় কোরবানির পশু কিবলামুখী করে শোয়াতে হবে। অতঃপর ‘বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার’ বলে জবাই করবে। ইচ্ছাকৃত বিসমিল্লাহ পরিত্যাগ করলে জবাইকৃত পশু হারাম বলে গণ্য হবে। আর যদি ভুলক্রমে বিসমিল্লাহ🐈 ছেড়ে দেয় তবে তা খাওয়া জায়েজ আছে। (হেদায়া : ৪/৪৩৫)

পশু জবাই করার সময় মুখে নিয়ত করা জরুরি নয়। অবশ্য মনে মনে নিয়ত করবে যে আমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে কোরবানি করছি। তবে মুখে দোয়া পড়া উত্তম। (ফাতাওয়🧜ায়ে শামি : ৫/💯২৭২)

জবাই করার সময় চারটি রগ কাটা জরুরি 

১. কণ্ঠনালি, ২ඣ. খাদ্যনালি,✤ ৩. দুই পাশের মোটা রগ, যাকে ওয়াজদান বলা হয়। এই চারটি রগের মধ্যে যেকোনো তিনটি কাটা হলে কোরবানি শুদ্ধ হবে। কিন্তু যদি দুটি কাটা হয় তবে কোরবানি শুদ্ধ হবে না। (হেদায়া : ৪/৪৩৭)

পশু জবাইয়ের মুস্তাহাব : জবাই করার আগে ছুরি ভালোভাবে ধার দিয়ে নেওয়া মুস্তাহাব। কোরবানির পশুকে এমনভাবে জবাই করা উচিত, যাতে পশুর কোনো প্রকার অপ্রয়োজনীয় কষ্ট না হয়। এমনিভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্থানে জবাই করা উচিত। জবাইকারী ব্যক্তির সঙ্গে যদি কেউ ছুরি চালানোর জন্য সাহায্য করে, তার জন্যও ‘বিসমিল্লাহ আল🐓্লাহু আকবার’ বলা ওয়াজিব। (হেদায়া : ৪/৪৩৮; ইমদাদুল ফাতাওয়া : ৩/৫৪৭, ফাতাওয়ায়ে শামি : ৯/৪৭৩)

কোরবানির দোয়া

কোরবানির পশু কিবলামুখী করে শোয়ানোর পর নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করবে : ‘ইন্নি ওয়াজ জাহতু ওয়াজ হিয়া লিল্লাজি ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকিন। ইন্না সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহইয়ায়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাবিবল আলামিন। লা শারিকা লাহু ওয়া বিজালিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমিন। আল্লাহুম্মা মিꦦনকা ওয়ালাকা।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ২৭৯৫)

এই দোয়া পাঠ করার পর ‘বিসমিল্লাহি আল🌞্লাহু আকবার’ বলে পশু জবাই করবে। পশু জবাই করার পর নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ কꦑরবে—‘আল্লাহুম্মা তাকাব্বালহু মিন্নি কামা তাকাব্বালতা মিন হাবিবিকা মুহাম্মদ ও খালিলিকা ইবরাহিম আলাইহিমাস সালাতু ওয়াস সালাম।’ যদি একাধিক ব্যক্তি মিলে কোরবানি করে তবে ‘মিন্নি’র স্থলে ‘মিন্না’ পাঠ করবে এবং শরিকদের নাম পাঠ করবে। তবে তাদের নাম শুধু নিয়ত করলে হবে।

Link copied!