দৈনন্দিন খাবার তালিকায় যেকোনও একটি শাক রাখা ভালো। পুষ্টিচাহিদা পূরণে শাক একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। নানা ধরণের শাকের মধ্যে পালংশাকে থাকা ভিটামিন ত্বকের জন্য উপকারি। এছাড়া এই শাকের আরও বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান আছে। ১০০ গ্রাম পালংশাকে রয়েছে- ২৩ কিলোক্যালরি শক্তি,
৩.৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২.২ গ্রাম প্রোটিন, ২.২ গ্রাম ফাইবার, ২৮ মি.গ্রা. ভিটামিন সি🐽, ২ মি.গ্রা. ভিটামিন ই, ৯৯ মি.গ্রা. ক্যালসিয়াম, ২.৭ মিগ্রা লৌহ। 🐓এ ছাড়া ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, মাঙ্গানিজ, জিংক, ফলিক এসিড ইত্যাদি উপাদান খুব ভালো পরিমাণে রয়েছে। এসব উপাদান শরীরের বিভিন্ন কাজে বেশ গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই এই শাক খাওয়া উচিত।
- পালংশাকে ভিটামিন এ ত্বকের বাইরের স্তরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখে। এটা ত্বকের সমস্যা যেমন ব্রণ ও বলিরেখা কমায়।
- পালংশাকের উচ্চমাত্রার বিটা ক্যারোটিন চোখের জ্যোতি বাড়ায় এবং চোখের ছানি পড়া প্রতিরোধ করে।
- পালংশাকে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ এবং বিটা কেরোটিন থাকায় তা মানুষের কোলনের কোষগুলোকে রক্ষা করে।
- পালং শাকে ভালো পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- পালংশাকে রয়েছে ১০টির বেশি ভিন্ন ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড, যা জটিল রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। বিশেষ করে দেহের ক্ষতিকর মুক্তকণিকা নিষ্ক্রিয় করে ক্যানসার ঠেকায়।
- এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম ব্লাড প্রেশার কমায়। রক্তে শ্বেত কণিকার পরিমাণ স্বাভাবিক রাখে। ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- অন্তঃসত্ত্বা এবং স্তন্দানকারী মায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কারণ পালংশাকে রয়েছে ফোলেট বা ফলিক এসিড, আয়রন।
- পালংশাকে থাকা আয়রন ও ক্যালসিয়াম রক্ত স্বল্পতা প্রতিরোধ করে এবং হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে।