গণআন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ🃏 থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে শেখ হাসিনার ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ নিয়ে জল্পনা চলছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, তিনি যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চেয়েছিলেন। তবে এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি।
এমন পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ–বাংলাদেশি🐼 সংসদ সদস্য রুপা হক শেখ হাসিনাকে নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্যান্ডার্ডে একটি নিবন্ধ লিখেছেন।
লেবার পার্টির এই সংসদ সদস্য লিখেছেন, “ইরাকে সাদ্দাম হোসেনের ক্ষমতাচ্যুতির পর যেমন দৃশ্য দেখা গিয়েছিল, গত সপ্তাহে বাংলাদেশেও তেমন দেখা গেছে। দেশটির জাতির পিতার ভ𒀰াস্কর্য ভেঙে ফেলা হয়েছে, কুশপুতুল পোড়ানো হয়েছে। ঢাকার সেই উত্তাপের আঁচ আমাদের টাওয়ার হ্যামলেট (যুক্তরাজ্যের একটি পৌরসভা) অব্দি এসে পৌঁছেছিল।”
ജশেখ হাসিনার পতনকে চীনের তিয়ানআনমেন স্কয়ারের সঙ্গে তুলনা করে রুপা হক লিখেছেন, ৫৩ বছর বয়সী স্বাধীন বাংলাদেশকে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে শাসন করেছেন শেখ হাসিনা। তাকে দেশটꦜির বেশির ভাগ মানুষই মনে করে ‘স্বৈরাচারী’ ও ‘বর্বর’ শাসক।
শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্যে আশ্রয় প্রসঙ্গে রুপা হক লিখেছেন, “আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি, শেখ হাসিনার ব্যাপক অজনপ্রিয় শাসনামল ও অভিবাসনসংক্রান্ত রাজনৈতিক স্পর্শকাতরতার নিরিখে যুক্তরাজ্য সরকারের এমন একজনকে আশ্রয় দেওয়া সমীচীন হবে না, যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারের দাবি রয়েছে। অনেক বﷺাংলাদেশি মনে করে, তাকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করা 🌺উচিত।”
নিবন্ধের শেষের দিকে রুপা হক লিখেছেন, “স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনের পর আমার বাংলাদেশি ভাই–বোনদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। সরকারের অন্যায় নিয়ে কথা বললেই আর নিপীড়নের শিকার হওয়😼ার ভয় নেই। তবে ঝুঁকি এখনো রয়েছে। আশা করি সেখানে গণতন🐻্ত্র ফিরবে।”