শিশুরা অনেকবেশি সংবেদনশীল হয়। শিশুদের নিয়ে অভিভাবকরা বরাবরই চিন্তায় থাকেন। একটু অনিয়মের কারণেই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারে শিশুরা। বিশেষ করে খাওয়া দাওয়ায় অনিয়ম, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, ঠাণ্ডা সর্দি লেগে থাকা যেন এখন সাধারণ ঘটনা। এছাড়াও শিশুর পর্যাপ্ত প্রস্রাব বা মলত্যাগ না হওয়াও চিন্তার কারণ। আবার শিশুর বারবার বা ঘন ঘন෴ মলত্যাগ হওয়াও যেন অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দেয়।
বিশেষজ্ঞরা জানান, শিশুদের বারবার মলত্যাগ বা ঘন ঘন প্রস্রাব করার ঘটনা সাধারণ বিষয়। বিভিন্ন কারণেই এটি হতে পারে। কিন্তু কখনও কখনও এটি স্বাস্থ্য ঝুঁকিও লক্ষণ। একটি শিশু দিনে বেশ কয়েকবার ꦿমলত্যাগ করতে পারে। এই সংখ্যায় ব্যাপক তারতম্য স্ꦚবাভাবিক—যেমন কখনো প্রতিদিন শূন্যবার, কখনো আবার ৭ বার পর্যন্তও হয়। নবজাতক স্তন্যপান করা শিশুরা সারা দিন একটু একটু করে পাতলা পায়খানা অনেকবার করতে পারে। এটিও স্বাভাবিক। তবে এটি ডায়রিয়া নয়। জন্মের তিন সপ্তাহ পর এই মলত্যাগের হার কমে আসে। অন্যদিকে একই শিশু কোনো কোনো সময় এক থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত একদম মলত্যাগ নাও করতে পারে। এতেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কিছুদিন পর আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়।
তবে অনেক শিশু বয়স বাড়ার পর👍ও বারবার মলত্যাগ বা প্রস্রাব করতে পারে, ༒এর পেছনে কিছু কারণ থাকতে পারে। যেমন_
প্রচুর পরিমাণে পানি পান
শিশুরা প্রায়ই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে। যা তাদের শরীরের জন্য ভালো। তবে বেশি পানি পান করলে তারা ঘন ঘন প্রস্রাব করতে পারে। এটি স্বাভাবিক🌱 এবং এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
ঠাণ্ডা আবহাওয়া
ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় শরীর কম ঘাম হয়। তাই শরীর থেকে অতিꩲরিক্ত পানি প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। ফলে শিশুদের এ সময়🥂 বারবার প্রস্রাব হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
মূত্রনালির সংক্রমণ
যদি শিশু হঠাৎ করেই বেশি মলত্যাগ করে এবং প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা জ্বালা অনুভব করে, তবে এটি মূত্রনালির সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। এক্ষেত্রে শিশু চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। মূত্রনালির সংক্রমণ সাধারণত ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট হয়। এটি চিকিৎসা না করালে সমস্যা বাড়তে পারে😼।
ডায়াবেটিস
যদি শিশুর অতিরিক্ত পিপাসা লাগে এবং বারবার প্রস্রাব হয়, এটি ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে। ডায়াবেটিসে শরীরের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। যার কারণে শ✃রীর থেকে অতিরিক্ত গ্লুকোজ প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। এটি একটি গুরুতর অবস্থা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা উদ্বেগ
শিশুরা যখন মানসিক চাপ বা উদ্বেগে থাকে, তখন তাদের শরীরের কার্যক্রমেও প্রভাব পড়তে পারে। মানসিক চাপের কারণে তাদের বারবার প্রস্রাবের চ꧑াপ হতে পারে। বিশেষ করে পরীক্ষার আগে বা নতুন কোনো পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে শিশুদের এমনটা হতে পারে।
মূত্রথলির সমস্যা
কিছু শিশুর মূত্রথলির কার্যক্রমে সমস্যা থাকতে পারে। যেমন মূত্রথলি সম্পূর্ণরূপে খালি করতে না পারা বা মূত্রথলির🌟 মাংসপেশির দুর্বলতা। এটি শিশুদের বার💝বার মলত্যাগ হওয়ার অন্যতম কারণ।
পানীয়ের ধরন
কিছু পানীয় যেমন সোডা, জুস, বা ক্য🍒াফেইনযুক্ত পানীয় শিশুদের বারবার প্রস্রাব বা মলত্যাগের কারণ হতে পারে। ক্যাফেইন একটি মৃদু ডাইউরেটিক। যা শরীর থেকে পানি বের করে দেয়।
মূত্রাশয়ের ছোট আকার
কিছু শিশুদের মূত্রাশয় আকারে ছোট হতে পারে, ফলে তাদের মূত্রাশয় তাড়াতাড🌺়🏅ি পূর্ণ হয় এবং তারা বারবার মলত্যাগ করে।