শিশুর জন্য মায়ের দুধের বিকল্প নেই। সাধারণত শিশুর ছয় মাস পর্যন্ত শুধুম🍨াত্র বুকের দুধ খাওয়ানোর কথা বলে থাকেন চিকিৎসকরা। কারণ অন্যান্য পুষ্টিগুণের পাশাপাশি বুকের দুধে যথেষ্ট পরিমাণ আয়রনও রয়েছে।
তবে একটি সময়ের পর শিশুকে যখন বাইরের খাবারে অভ্যস্ত করা হয়, তখন ভাত, সুজি, খিচুড়ি বা সিরিয়াল খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়। এইসব খাবার কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ। অনেক বাবা মায়েরা মনে করে থাকেন প্রচুর ভাত খেলেই শক্তি পাবে শিশু। কিন্তু শিশুর জন্য কার্বোহাইড্রেটের প্রয়োজনীয়তা তো রয়েছেই, পাশাপাশি তাকে প্র🍒োটিনসমৃদ্ধ খাবারও তো খাওয়াতে হবে।
যেখান থেকে নানারকম পুষ্টির যোগান দেবে। অনেক বাড়ন্ত শিশুর রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। নানারকম রোগ থেকে সেরে ওঠꦗার সময়ও আয়রনের বেশি প্রয়োজন হয়। এমন কিছু খাবার রয়েছে,🐠 যা খেলে দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
প্রাণিজ খাবার
আয়রনসমৃদ্ধ প্রাণিজ খাবার যেমন-গরুর লাল মাংস, কলিজা, মু💞রগির কলিজা, ডিম, সামুদ্রিক মাছ, দই এসব খাব🦄ার পরিমাণমতো শিশুকে খাওয়াতে পারেন।
বিটরুট খাওয়াতে পারেন
আয়রনের একটি ভালো উৎস বিট। বিটের রসে ꦰপ্রচুর পরিমাণ আয়রন, খাদ্য আঁশ, পটাসিয়াম, ফলিক এসিড ইত্যাদি থাকে, যা দেহে লাল রক্তকণিকা বাড়াতে বেশ সাহায্য করে। শিশুকে 🍎বিটের রস করে খাওয়ানো যেতে পারে।
সাইট্রাস ফল খাওয়ান
শরীরে আয়রন শোষণের জন্য ভিটামিন সি অন্যতম। ভিটামিন সির অভাবে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে। লেবু, কমলা, আমলকী, জলপাই, আঙুর, জাম্বুরা, পেয়ারা, আমড়া, বরই, স্ট্রবেরি ইত্যাদি ফলে প﷽্র♕চুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, যা শিশুদের রক্ত বৃদ্ধিতে বেশ সহায়তা করে।
কলা খাওয়াতে পারেন
শিশুর শরীরের জন্য ফলিক এসিড খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মানবদেহে লাল ๊রক্তকণিকা তৈরিতে এই ফলিক এসিডের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। সবুজ পাতাযুক্ত শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণ ফলিক এসিড রয়েছে। এ ছাড়া কাঁচকলা, ব্রকলি, শিমের বিচি, ডুমুর, কলার মোচা, ইত্য🐷াদিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। পরিমাণ বুঝে শিশুর খাবারে এসব যুক্ত করতে পারেন।
আপেল খাওয়ান
আয়রনের খুব ভালো আরেকটি উৎস হলো আপেল। খোসাসহ একটি আপেল খেয়ে প্রতিদিন রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখা সম্♌ভব। এ ছাড়া আপেল ও বিটের রস সমানুপাতে পান করাতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
বেদানা
রক্তে হিমোগ্লোবি✤নের মাত্রা বাড়াতে এই ফলটি বেশ ভালো কাজ করে। বেদানায় রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ আয়রন এবং ক্যালসিয়াম। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, শর্করা ও খাদ্য আঁশ রয়েছে এতে। যেসব শিশুর রক্তস্বল্পতা রয়েছে তাদের প্রতিদিন একটি করে বেদানা খাওয়ান। এর জুস করেও খাওয়াতে পারেন। তবে ব📖েদানার সঙ্গে কমলা বা লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এর আয়রন শোষণ হবে ভালোভাবে।
কলা
কলায় যথেষ্ট পরিমাণ পটাসিয়াম ও বেশ কিছু কার্যকর উপাদান রয়েছ😼ে, যা মানবদেহে লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধিতে এবং হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শিশুদের কলা চটকে অথবা দুধের সঙ্গে ব্লেন্ড করে স্মুদি তৈরি করে খাওয়ালে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
শুকনা ফল ও বাদাম
কিশমিশ, খেজুর, অ্যাপ্রিকট, আলুবোখারা এবং বিভিন্ন ধরনের বাদামে যথেষ্ট পরিমাণ খ🥃নিজ লবণ ও❀ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। এই খাবারগুলো শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি অন্যান্য পুষ্টিরও যোগান দেয়।