সাধারণত পরিপাকতন্ত্রে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবী সংক্রমণের ফলে দিনে তিন বা তার চেয়ে বেশিবার পাতলা বা তরল পায়খানা হলে তাক൲ে ডায়রিয়া বলে। প্রতিবছর সারা বিশ্বে প্রায় পাঁচ লাখ শিশু ডায়রিয়াজনিত সমস্যায় মারা যায়। ২০১৮ সালে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে, 𒉰বাংলাদেশে ডায়রিয়াজনিত কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ৩১ হাজার ২৮ জন বা মোট মৃত্যুর ৪ শতাংশ। ডায়রিয়ায় মৃত্যু হারে বিশ্বের ৫৩ নম্বর অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। সাধারণত গ্রীষ্মকাল ডায়রিয়া বেশি দেখা যায়। গ্রীষ্মকালে আবহাওয়ার কারণেই অনেক বেশি পরিমাণে অসুখ-বিসুখ দেখা দেয়। গরমের সময় সিগেলা, ই কোলাই, কলেরা (ভিব্রিও কলেরি) এবং শীতকালে রোটাভাইরাসের মাধ্যমে ডায়রিয়া ছড়ায়।
সাধারণত বাইরের খোলা খাবার খেলে, দূষিত পানি পান করলে ডায়রিয়া হ♐য়। তাই এ সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
ডায়রিয়া থেকে বাচঁতে করণীয়
- ঘন ঘন হাত ধোয়া। যে কোন খাবার হাতে নেওয়ার আগে, হাঁচি, কাশি অথবা নাকে হাত দেবার পরেও সাবান দিয়ে ভালো ভাবে হাত ধোয়া।
- বাইরের অস্বাস্থ্যকর পানি পান না করে পানি ফুটিয়ে খেতে হবে।
- মলমূত্র ত্যাগের পর হাত সাবান দিয়ে ভালো করে ধুতে হবে।
- রাস্তার পাশের শরবত, পানি, যানবাহনে খোলা অবস্থায় বিক্রি হওয়া বিভিন্ন ফল, খাবার ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকা।
- খাবার তৈরির সময় হাত, খাবারের পাত্র ও খাবার তৈরির স্থান পরিষ্কার করতে হবে।
- পচা-বাসি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- হাতের নখ কেটে সব সময় ছোট রাখার চেষ্টা করা। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে তারা যেহেতু বাইরে খেলাধুলা করে, ঘরের ছোট ছোট জিনিস হাতে নিয়ে মুখে দেয়।
- পুষ্টিকর খাবার খাওয়া
- রান্না করা খাবার ফ্রিজে রাখতে হলে রান্নার এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে রেফ্রিজারেটরে রেখে দিতে হবে।