পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম বা পিসিওএস নারীদের হরমোনের ভারসাম্যহীনতা জনিত রোগ। বিশ্বজুড়ে ৮ থেকে ১০ শতাংশ নারী এই সমস্যায় ভোগেন। এই রোগে ডিম্বাশয়ে অনেকগুলো সিস্ট হয় বলেই এর এমন নামকরণ। এর মধ্𓄧যে ৭০ শতাংশ নারী কখনও সে বিষয়ে জানতেও পারেন না।
পিসিওএস থাকলে ওজন বেড়ে যাওয়া, হরমোনের তারতম্য, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সসহ নানা ধরনের মেটাবলিক বা বিপাকীয় সমস্যা দেখা দেয়। তাই এ সমস্যায় খাদ্যাভ্যাসের দি♑কে বিশেষ নজ▨র দেওয়া প্রয়োজন। চলুন জেনে নিই পিসিওএস থাকলে খাদ্যতালিকায় কী ধরণের খাবার অন্তর্ভুক্ত করা দরকার-
ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য
পিসিওএস থাকলে হাই ফাইবার, লো-কার্ব ডায়েট মেনে চলতে হবে। ভাত-রুটি, ময়দার তৈরি খাবারের মতো শর্করা কম খেতে হবে। শাকসবজি, ডাল, বীজ—এগুলো বেশি করে খাও𝔉য়া প্রয়োজন। কারণ ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে এবং রক্তে চিনির উপস্থিতি কমিয়ে ইনসুলিন প্꧟রতিরোধের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
চর্বিহীন প্রোটিন
পেশীর ভর বজায় রাখার জন্য এবং পরিপাক প্রক্রিয়াকে সক্রিয় রাখার জন্য প্রোটিন অপরিহার্য। এই কারণে রেড মিটের বদলে মুরগির মাংস, ডিম, মাছ, দুধ এই ধরনের খাদ্যগুলি বেছে নেওয়াꩵ যেতে পারে। ডিম রোজ চলতে পারে। ডাল খেতে পারেন। তবে চর্বি খাওয়া যাবে না।
বীজ জাতীয় খাবার খাবেন
নানা রকম বীজ খাওয়া যেতে পারে, যেমন চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড, কু🍸মড়ার বীজ, সূর্যমুখীর বীজ ইত্য💟াদি।
স্বাস্থ্যকর চর্বি
স্বাস্থ্যকর চর্বি হরমোন উৎপাদন এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই পিসিওএস-এ আক্রান্ত নারীদের জন্য বাদাম বিশেষভাবে উপকারী। বাদামে থাকে স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন এবং খনিজ, যা ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং সামগ্রিক বিপাকীয় স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে 💯সহায়তা করতে পারে⛎।
ফল
ফল খেতে পারবেন। তবে আম, কলা, লিচু, আঙুর—এসব ফলে কার্বোহাইড্রেট বে🃏শি, তা𝓀ই পরিমিত খেতে হবে।
তবে পিসিওএসের চিকিৎসার একটি বড় অংশ হলো ওজন নিয়ন্ত্রণ আর খাদ্যাভ্যাস। তাই এদিকে বেশ♔ি জোর দিতে হবে।