চলতি বছর ডেঙ্গু জ্বরꦐ মারাত্বক আকার ধারণ করেছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সীদেরই আক্রান্ত করছে ডেঙ্গু। গর্ভবস্থায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে এর জটিলতা দেখা দেয় বেশি। কারণ তখন এমনেতেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। আবার সব ধরণের ওষুধও তখন গর্ভস্থ শিশুর জন্য উপযোগী থাকে না। তাই ডেঙ্গু হলে গর্ভাবস্থায় থাকা অন্যান্য সমস্যা গুলো জটিল আকার ধারণ করে। এমনকি গর্ভপাতও হয়ে যেতে পারে।
তাই গর্ভাবস্থায় ডেঙ্গু যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। কোথাও যাতে 🐬পানি জমে না থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে। আর যদি গর্ভবতী কোন নারী ডেঙ্গুতে আক্রা🧸ন্ত হয় তাহলে তার দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। চলুন জেনে নেই গর্ভাবস্থায় ডেঙ্গু হলে কী করবেন-
- সাধারণত ডেঙ্গু হলে রোগীদের পর্যাপ্ত পানি পান করতে বলা হয়ে থাকে। আর গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে কোন রকম পানির ঘাটতি যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রচুর পানি ও শরবত খেতে হবে।
- পরিপূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে।
- জ্বর কমানোর জন্য কোন রকম অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না।
- অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জটিলতাগুলো তাড়াতাড়ি দেখা দেয়। তাই তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হয়।
- ডেঙ্গু আক্রান্ত গর্ভবতী নারীকে আলট্রাসনোগ্রাফি করে গর্ভস্থ শিশুর অবস্থা খেয়াল রাখতে হবে। এসময় শিশুর নড়াচড়ার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।
- রুটিনমাফিক রক্ত পরীক্ষা সিবিসি, পিসিভি করতে হবে। রক্তের অনুচক্রিকা কমছে কি না খেয়াল রাখতে হবে।
- জ্বর কমে গেলেও অনেক সময় পেটে পানি আসা, প্লাটিলেট কমা, রক্তশূন্যতার মতো নানান জটিলতা দেখা দেয়। এজন্য অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জ্বর কমে যাওয়ার পরেও ৭ থেকে ১০ দিন ফলোআপে রাখতে হবে।
- প্লাটিলেট অনেক কমে গেলে বা দ্রুত সিজারিয়ান অপারেশন করার প্রয়োজন হলে প্লাটিলেট দিতে হতে পারে।
- যদি কোন ডেঙ্গু আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা নারী বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নেয় আর সে সময় যদি কোন জটিলতা বা বিপদ চিহ্ন দেখা দেয় তাহলে দেরি না করে তখনই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।