মানবদেহে ঘাম হওয়া খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়। তবে এর থেকে সৃষ্ট দুর্গন্ধের কারণে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় অনেককেই। ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে অনেকেই সুগন্ধি প্রসাধনী ব্যবহার করেন। সাময়িকভাবে পারফিউম, বডি স্প্রে কাজে আসলেও দীর্ঘস্থায়ী হয় না। ক🔥ারণ ঘাম হয় ত্বকের নিচের বিশেষ গ্রন্থি থেকে তৈলাক্ত ক্ষরণের কারণে। আর যখন ঘাম ত্বকে উপর থাকা ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আসে, তখনই দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। তাই সুগജন্ধি দিয়ে গন্ধ তাড়ালে চলবে না। ব্যাকটেরিয়াকে তাড়াতে হবে।
যেসব কারণে অতিরিক্ত ঘাম ও দুর্গন্ধ হয়
প্রতিদিনের খাবারে সালফারের পরিমাণ বেশি থাকলে এবং মাংস, ডিম, পেঁয়াজ, ব্ꦕরকলি, রসুন, অতিরিক্ত লবণ ও মসলাযুক্ত খাবার বেশি খেলে অতিরিক্ত ঘাম ও দুর্গন্ধ হয়। আবার ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও মদ্যপান করলেও ঘাম বেশি হয় ও তাতে দুর্গন্ধ হয়। তবে মানসিকভাবে উদ্বিগ্ন থাকলে এবং হরমোনের প্রভাবেও কৈশোরে গায়ে দুর্গন্🍌ধ হতে পারে।
চলুন জেনে নেই ঘামের দুর্গন্ধ দূর করবেন যেভাবে-
ফিটকিরি: গোস꧒লের সময় পানিতে খানিকটা ফিটকিরি মিশিয়ে নিতে পারেন। এক বালতি পানির জন্য দুই-তিন টেবিল চামচ ফিটকিরি প্রয়োজন হয়। আবারꦦ এক কাপ ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে দুই চা–চামচ ফিটকিরি গুঁড়া মিশিয়ে সঙ্গে রাখুন। প্রয়োজনমতো ব্যবহার করা যাবে।
বেকিং সোডা: চাইলে ফিটকিরির পরিবর্তে গোসলের পানিতে বেকিং সোডাও মেশানো যায়। এ ক্ষেত্রে এক বালতি পানিতে আধা টেবিল চামচ বেকিং সোডা যোগ করতে হবে। আবার একে ট্যালকম পাউডারের মতো ব্যবহার করা যেতে পারে। আন্ডারআর্ম থেকে দুর্গন্ধ হলে তা লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। তারপর ভেজা ওয়াইপের সাহায্যে মু♌ছে ফেলুন। ১ কাপ পানিতে ১ চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। এবার পারফিউমের মতো তা স্প্রে করুন। এতে দুর্গন্ধের সমস্যা দূর হবে। তবে বেকিং সোডা দ্রুত কাজ করলেও এটির কার্যকারিতা কম সময় থাকে।
গোলাপজল: ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার জন্🦄য সবচেয়ে সহজ উপায় হলো গোলাপজলের ব্যবহার। গোসলের পানির সঙ্গে পরিমাণমতো গোলাপজল মিশিয়ে নিয়ে গোসল করুন। এই উপায়টি দীর্ঘক্ষণ দেহকে ঘামের দুর্গন্ধ থেকে দূরে রাখে। এটি খুব কার্যকরী।
ভিনেগার: শরীরের দুর্গন্ধ দূর করতেও ভিনেগার ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি তুলোর প্যাডে আলতো করে ভিনেগার নিয়ে চাপুন এবং ঘামযুক্ত জায়গায় প্রয়োগ করুন। 🧸এটি ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখবে এবং ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলবে। এর ফলে দুর্গন্ধের সমস্যা দূরও হ🎀বে।
ঘাম মুছে ফেলুন: ঘেমে গেলে দ্রুত ঘাম মুছে ফেলা উচিত। ভেজা তোয়ালে বা রুমাল দিয়ে ঘাম মুছে নেওয়া যেতে পারে। সম্ভব হলে ঘামে ভে🅰জা কাপড় বদলে ফেলা ভালো। এতে ঘাম ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আসে না ফলে দুর্গন্ধ হয় না।
এছাড়াও প্রতিদিন গোসল করুন এবং গোসলের সময় অবশ্যই ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। মসলাযুক্ত খাবার, কফি, 🐟অ্যালকোহল পরিহার করুন।