সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। প্রতিদিন একজন মানুষের ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। তাতে শরীর ও মন চাঙা থাকে। বাড়🔯ে কর্মস্পৃহা। স𒁃ম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে চমকপ্রদ কিছু তথ্য। ঘুমের পাঁচটি অভ্যাস রপ্ত করতে পারলে শুধু শরীর মনই চাঙা থাকবে না, বাড়বে আয়ুও।
নতুন এক গবেষণা বলছে, বেশি দিন বাঁচার জন্য ঘুমকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ঘুমাবার সময় 💜পাঁচটি ভালো অভ্যাস একজন পুরুষের আয়ুꦜ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে, অন্যদিকে নারীর আয়ু বাড়তে পারে আড়াই বছর।
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের মেডিসিনের ক্লিনিক্যাল ফেলো এবং বোস্টনের বেথ ইসরায়েল ডেকোনেস মেডিকেল সেন্টারের আবাসিক চিকিৎসক ডা. ফ্র🦩াঙ্ক কিয়ান বলেন, “মানুষ যদি এই পাঁচটি অভ্যাস চর✃্চা করে, তাহলে তার আয়ু বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।”
এক বিবৃতিতে ডা. ফ্রাঙ্ক কিয়ান বলেন, “যদি আমরা সামগ্রিকভাবে ঘুমের উন্নতি ﷽করতে পারি এবং ঘুম না হওয়ার কারণগুলো শনাক্ত করতে পারি, তাহলে আমরা অকালমৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে পারব।”
তাহলে আমাদের 🌠আয়ু বাড়াতে কী করতে হবে? প্রথমত, আপনাকে প্রতি রাতে অন্তত টানা সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে দীর্ঘ সময় বিছানায় থাকাটাই যথেষ্ট নয়। আপনার ঘুম হতে হবে নিরবচ্ছিন্ন, নির্বিঘ্ন। অর্থাৎ রাতে ঘুমানোর পর আর ওঠা যাবে না। সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন এ রকম নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের অভ্যাস করতে হবে। ঘুমটা এমন হবে, যেন সকালে জেগে উঠলে আপনি সতেজ বোধ করবেন। অর্থাৎ মনে হবে আপনি যথেষ্ট বিশ্রাম নিয়েছেন। সবচেয়ে বড় কথা, ঘুমের ওষুধ খাওয়া যাবে না। ঘুমের ওষুধ না খেয়েই প্রশান্তিময় ঘুমের অভ্যাস করতে হবে।
সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেক স্কুলের ক্লিনিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রাজ দাশগুপ্ত বলেন, “আমরা শুধু স্বাস্থ্যকর ঘুম নিয়েই কথা বলছি না, বিষয়টি ঘটতে হবে নিয়মিত। 💙অর্থাৎ আপনাকে রাতের পর রাত 📖সুনিদ্রায় যেতে হবে।”
দাশগুপ্ত আরও বলেন, সম্প্রতি গবেষণা দেখা গেছে, টানা সুনিদ্রা না হলে বিপাকীয় অস্বাভাবিকতা ও উচ্চ কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বাড়ে। ঘুমের সময়ে ও নিয়মিত ঘꦇুমের অভ্যাসটি রপ্ত করতে পারলে হৃদ্রোগের আশঙ্কাও কমে যায়।
পাঁচটি স্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাস
- সহজেই ঘুমিয়ে পড়া
- ঘুমিয়ে থাকা
- সাত থেকে আট ঘণ্টা গভীর ঘুম
- ঘুম থেকে জেগে প্রশান্তি বোধ করা
- ঘুমের ওষুধ না খাওয়া
সম্প্রতি আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজির বার্ষিক সভায় একটি প্রতি⭕বেদন উপস্থাপিত হয়েছে। দেশটির ন্যাশনাল হেলথ ইন্টারভিউ ১ লাখ ৭২ হাজার লোকের ওপর ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে এ সমীক্ষাটি করে। সমীক্ষায় পাঁচটি স্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাস নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল এবং প্রতিটির অভ্যাসের জন্য ১ নম্বর করে দিয়ে উত্তরদাতাদের স্কোরিং করা হয়েছিল।
প্রায় চার বছর পর এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, যেসব ব্যক্তির স্কোর শূন্য ছিল, তাদের চেয়ে যাদের স্কোর ৫, তাদের মৃত্যুর সম্ভাব🅷না ৩০ শতাংশ কম। এ ছাড়া ৫ স্কোর পাওয়া ব্যক্তিদের কার্ডিওভাসকুলার রোগে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ২১ শতাংশ কম, ক্যানসারে মারা যাওয়ার 🀅সম্ভাবনা ১৯ শতাংশ কম এবং হৃদরোগের মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ৪০ শতাংশ কম।
গবেষণা আরও ব🅘লছে, যেসব পুরুষ ঘুমের পাঁচটি ভালো অভ্যাস রপ্ত করতে পেরেছিলেন, তাদের আয়ু শূন্য স্কোর পাওয়াদের তুলনায় ৪ দশমিক ৭ বছর পর্যন্ত বেড়েছে। অন্যদিকে সুনিদ্রায় নারীদের আয়ু বৃদ্ধির প্রভাব পুরুষের তুলনায় কম। তাদের আয়ু বাড়ে ২ দশমিক ৪ বছর।
এ বিষয়ে ডা. দাশগুপ্ত বলেন, “নারীরা হয়তো ঘুমের ব্যাঘাতের বি🍃ষয়টা বুঝতে পারেন না অথবা তাদের ঘুমে সমস্যার লক্ষণগুলো পুরুষের তুলনায় ভিন্ন। আমাদের হয়তো তাদের ভিন্ন প্রশ্ন করতে হবে ঘুমের সমস্যার 💯বিষয়টি বোঝার জন্য।”
সূত্র : সিএনএন।