• ঢাকা
  • বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


নবজাতকের বমি কখন স্বাভাবিক নয়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৪, ০১:৪০ পিএম
নবজাতকের বমি  কখন স্বাভাবিক নয়
নবজাতকের বমি কখন স্বাভাবিক নয়। ছবিঃ সংগৃহীত

শিশু জ๊ন্মের পর নানা শিশুরা বমি করে এতে অভিভাবকরা সহজেই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হন কিন্তু সব বমির ক্ষেত্রে ওষুধ লাগে না। তবে অনেক সময় শিশুদের বমি কোনো রোগের লক্ষণ হতে পারে। তাই শিশুর বমির লক্ষণ দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

শিশুর বমির কারণ ও করণীয়

অনেক সময় মায়ের পানি ভাঙার পর প্রসবকাল খুব দীর্ঘ হলে নবজাতক প্রসব🔜কালে জরায়ু থেকে বের হওয়ার সময় সামান্য লাইকার, রক্ত ইত্যাদি গিলে ফেলে। ফলে নবজাতক শিশু জন্মের প্রথম কয়েক দিন বমি করতে পারে। এ রকম সন্দেহ হলে নবজাতক শিশুকে প্রথম খাবার দেওয়ার আগেই শিশুচিকিৎ♍সকের পরামর্শে পাঁচ থেকে ১০ মিলি নরমাল স্যালাইন দিয়ে স্টমাক ওয়াশ করে দেওয়া ভালো।

আবার কখনো কখনো নবজাতক ও কম বয়সী শিশুরা মায়র বুকের দুধ খাওয়ার সময় কিছু না কিছু বাতাস খেয়ে ফেলে। খাওয়ার পর বাতাস বের করা না হলে এ বাতাস পাকস্থলী থেকে বেরিয়ে যেতে চায় ও বেরোনোর সময় সঙ্গে দুধ তুলে নিয়ে আসে। তাই প্রতিবার শিশুকে দুধ খাওনোর পর বাতাস বের করে দিতে হয়। বাতাস বের করার নানারকম পদ্ধতি আছে তারমধ্যে যে কোনো একটি বেছে নিতে হবে। নবজাতক ও অল্পবয়সী শিশুর বমি করার সর্বাধিক কারণ ♔বেশি পরিমাণে বাতাস খেয়ে ফেলা।

নবজাতকের প্রথম সপ্তাহ বা মাসগুলোতে সচরাচর বমি হতে পারে। নবজাতককে নিয়ে দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করলেও এমন হতে পারে। আবার দীর্ঘক্ষণ কান্ন🌠া বা কাশি হলেও শিশুদের বমির উদ্রেগ ঘটায়। এ পরিস্থিতি শিশুকে অসুস্থ বানিয়ে দিতে পারে। যেকোনো কারণেই বমি হোক না কে🅺ন, ওই সময় নিতে হবে কিছু পদক্ষেপ।

কখনো কখনো কিছু রোগের লক্ষণ বমি। যদি দেখা য💫ায় যে জন্মের পরপরই 🧸নবজাতক শিশুর মুখে অবিরাম ফেনা বেরোচ্ছে তখন শিশুকে বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত। কারণ ওই নবজাতকের শ্বাস ও খাদ্যনালির জন্মগত ত্রুটি থাকতে পারে। আবার কোনো কোনো নবজাতকের পায়খানার রাস্তা না-ও থাকতে পারে। ফলে জন্মের পর আস্তে আস্তে পেট ফুলে যায়। তখন নবজাতক পায়খানা না করে বমি করতে থাকে। শিশু বিশেষজ্ঞের দ্বারা রোগ নির্ণয়ের পর সফল অস্ত্রোপচারের সাহায্যে এসব ত্রুটি ইদানীং সারানো সম্ভব হচ্ছে।

শিশু ঘন ঘন বমি করলে বা বমির বেগ খুব বেশি করলে শিশুর নাভি খেয়াল করবেন। নাভি বা তার আশেপাশে লেবুর মতো সাইজের দলার মত মনে হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।  কারণ শিশুর ‘কনজেনিটাল হাইপারট্রপিক পাইলোরিক স্টেনোসিস’ অর্থাৎ পাকস্থলীর নিম্নাংশের নালিপথ অত্যধিক সরু থাকার কারণে এসব লক্ষণ দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে শিশু বিশেষজ্ঞের দ্বারা রোগ নির্ণয় করে অস্ত্রোপচারের সাহায্যে শিশুকে সম্পূর্ণ ন𒈔িরাময় করে তোলা সম্ভব।

কಌোনো নবজাতক হয়তღো জন্মের প্রথম ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা সম্পূর্ণ ভালো ছিল কিন্তু তারপর থেকে খাচ্ছেনা কিন্তু বমি করছে এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে কারণ নবজাতক কোনো ইনফেকশনে আক্রান্ত হলেও এমন করতে পারে।

মাঝেমধ্যে শিশু দু-একবার বমি করলে তা নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তার প্রয়োজন নেই। কেননা পꦆ্রায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বমি কোনো মারাত্মক অসুখের কারণ নয়। বমি করার পর শিশু যদি স্বাভাবিকভাবে খেলা🌄ধুলা করে, উত্ফুল্ল থাকে, তাহলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে বমি হলে সবসময় অবহেলা না করে সতর্ক হতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

Link copied!