সন্তানের জন্মের আগে যেমন মায়ের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখা ভীষণ জরুরি, ঠিক তেমনꦍি সন্তানের জন্মের পরও নতুন মায়েদের স্বাস্থ্যের দিকে আরও বেশি লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। কারণ সন্তান প্রসবের পর মায়েরা স্বাভাবিকভাবেই বেশিরভাগ সময় ক্লান্ত ও ব্যস্ত থাকেন। অনেক সময় তাদের পর্যাপ্ত ঘুম ও খাওয়া হয় না। যা তাদের আরও বেশি দুর্বল করে দেয়। আবার সন্তান জন্মের পরে প্রায় ছ’মাস বয়স পর্যন্ত শিশুরা নির্ভরশীল থাকে মাতৃদুগ্ধের ওপর। মায়ের পুষ্টির ওপরই নির্ভর করে শিশুর পুষ্টি।🧸 তাই এসময় মায়েদের খাবারের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
- নতুন মায়েদের খাবারের তালিকায় প্রতিদিন যেনো এক তৃতীয়াংশ সবুজ শাক-সবজি এক তৃতীয়াংশ প্রোটিন জাতীয় খাবার এবং এক তৃতীয়াংশ কার্বোহাইড্রেড জাতীয় খাবার থাকে।
- এসময় মায়েদের খাদ্যতালিকায় থাকবে দেশি মাছ, ছোট মাছ। সপ্তাহে ২-১ দিন সামুদ্রিক মাছ রুপচাঁদা, লইটা, টুনা ইত্যাদি খেতে পারেন। এতে প্রোটিনের পাশাপাশি ওমেগা-৩ পাওয়া যাবে।
- পোস্টপার্টাম টিসু রিপেয়ারিং বা ক্ষত সারানোর জন্য বেশি পরিমাণ ক্যালরি ও প্রোটিন দরকার। তাই মায়েদের প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার।
- সঠিক পরিমাণে শর্করা খেতে হবে। তবে অতিরিক্ত নয়। ভাত, রুটি, মুড়ি, চিড়া, খই, সুজি, সেমাই, সাগু ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।
- এসময় আয়রন সমৃদ্ধ খাওয়া জরুরি। আয়রন সমৃদ্ধ পরিচিত কিছু খাবার হলো পালং শাক, মটরশুঁটি, রাজমা, গরুর কলিজা, ডার্ক চকলেট, কুমড়ার বীজ ইত্যাদি।
- নতুন মায়ের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারও। কারণ এসময় অনেকের প্রসবের পর কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকবে না।
- দুধ বা দুধের তৈরি খাবার, মুরগির মাংসের তরকারি, মুরগির স্যুপ বেশি করে খেতে হবে। কারণ এগুলো মায়ের বুকের দুধ বাড়াতে কাজ করে।
- নানা রকমের রঙিন সবজি ও শাকের মতো পর্যাপ্ত ভিটামিন ও মিনারেলস সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
- পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে এবং পানি বিদ্যমান এমন ফল ও শাক-সবজি খেতে হবে। বাচ্চাকে দুধ পান করানোর আগে পানি বা তরল যেকোনো পদার্থ যেমন - মিল্কশেক, লাচ্ছি, স্যুপ, ডাবের পানি, তাজা ফলের শরবত দুগ্ধদানকারী মায়ের পান করা উত্তম।