কাঁঠালের মৌসুমে কাঁঠাল না খেলে কি চলে। বাজার থেকে কাঁঠাল কিনে বাড়িতে এসেই তা ভাঙা শুরু হয়। রসালো মিষ্টি স্বাদের কাঁঠালের কোয়াগুলো একটা একটা করে মুখে গুজে নিতেই 🃏যেন অমৃত স্বাদ লাগে। কখন যে অর্ধেকটা কাঁঠাল একাই শেষ🃏 করে ফেলছেন তার খেয়ালও নেই। কিন্তু শরীরের ডায়াবেটিস যে মাথা চাড়া দিয়ে বাড়ছে তা কি মনে আছে? মিষ্টি কাঁঠাল খেলে ডায়াবেটিসও বাড়তে থাকে। তাই মৌসুমেও কাঁঠাল খেতে হবে পরিমিত।
বিশেষজ্ঞরা জানান, কাঁঠাল অনেকের কাছেই লোভনীয়। তবে ডায়াবেটিসের রোগীদের লোভ সামলাতে 𝕴হবে। অত্যন্ত মিষ্টি স্বাদের হওয়ায় কাঁঠাল রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে কাঁঠাল বা মিষ্টি কোনো ফল খাওয়া যাবে না।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, কাঁঠালে গ্লিসিমিক ইনডেক্স বা জিআই ৫০-৬০ এর মধ্যে রয়েছে। অন্যদিকে গ্লিসিমিক লোড বা জিএল ১৩-১৮ এর মধ্যে থাকে। এটি মডারেট গ্লিসিমিক 🔯ইনডেক্সের ফল। তাই এটি নিরাপদ ফলও নয়। যা বেশি পরিমাণে খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
ডায়াবেটিস রোগীরা কতটুকু কাঁঠাল খাবেন, এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জান𒅌ান, কাঁঠালে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট। এক্ষেত্রে কার্বের প্রাচুর্য হল মূল সমস্যার কারণ। এই কার্ব ভেঙে সরাসরি পরিণত হয় সুগারে। যা থেকে শরীরে চটজলদি সুগার লেভেল বেড়ে যায়। যাদের রক্তে শর্করার পরিমাণে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তাদের প্রতিবারে ৭৫ গ্রামের বেশি কাঁঠাল খাওয়া যাবে না। তবে একবার কাঁঠাল খাওয়ার দুই ঘণ্টা পরে আবারও ৭৫ গ্রাম খেতে পারবেন। একেবারে বেশি খাওয়া যাবে না। কারণ বিরতি দিয়ে খেলে রক্তে সুগার তেমন একটা বাড়ে না।
তবে ডায়াবেটিসের মাত্রা বেশি থাকলে বেশি পরিমাণে তো দূরের কথা কাঁঠাল খাওয়াতেই সাবধান হতে হবে। তবে চেষ্টা করতে হবে, রসালো এই ✤মৌসুমে প্রতিটি ফলে স্বাদ নিতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার। প্রয়োজনে🙈 বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
ডায়াবিটিস না থাকলে কাঁঠাল খাওয়া নিয়ে তেমন নিষেধাজ্ঞা নেই বলে জ﷽ানান বিশেষজ্ঞরা। সুস্থ ব্যক্তিরা অনায়াসে খেতে পারেন। তবে খুব বেশি খাওয়া যাবে না। বেশি খেলে সুস্থ মানুষের শরীরেও হঠাৎ রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়বে। এছাড়া অতিরিক্ত ক্যালোরি থাকায় ওজন বৃদ্ধি পাবে। তাই একান্তই ৩ থেকে ৪ কোয়া কা🅷ঁঠাল খেতে পারেন। এর বেশি না খাওয়াই ভালো।