ধূমপান ক্যানসারের কারণ এটি আজকাল আর নতুন করে বলার মতো কিছু নেই। এটাও সবার অজানা নয় যে, ধূমপান একটি রোগ নয় বরং কঠিন ক্যানসার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ফু𝓡সফুসের রোগ, ডায়াবেটিস ও দীর্ঘস্থায়ী অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজসহ (সিওপিডি) বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এরপরেও অনেকে ধূমপান ছাড়তে পারেন না। অনেক ধূমপায়ীদের এটাও জানা নেই যে, ধূমপান ছাড়ার পর শরীরে কী কী ইতিবাচক পরিবর্তন হয়। ধূমপান ত্যাগ করা স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী দুই দিক থেকেই উপকার বয়ে🃏 আনতে পারে। চলুন জেনে নিই সেগুলো কী-
- ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক সীমায় ফিরে আসে।
- ধূমপান ছাড়ার ১২ ঘণ্টা পর কার্বন মনোক্সাইডের ( এক ধরণের বিষাক্ত গ্যাস) মাত্রা কমতে শুরু করে।
- ২-১২ সপ্তাহ পরে রক্ত সঞ্চালন ও ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়তে শুরু করে। এবং ১২ সপ্তাহের মধ্যে হার্ট এবং ফুসফুস সঠিক পরিমাণে অক্সিজেন পেতে শুরু করে।
- ধূমপান ছাড়ার ১-৯ মাস পরে কাশি এবং শ্বাসকষ্টের পরিমাণ অনেক কমে যায়।
- টানা ১ বছর ধূমপান থেকে বিরত থাকলে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ হওয়ার ঝুঁকি অর্ধেকের নিচে নেমে যায়।
- ধূমপান ছাড়ার পাঁচ বছর পরে স্ট্রোকের ঝুঁকি একেবারেই কমে যায়।
- ধূমপান ত্যাগ করার ১০ বছর পরে মুখ, গলা, খাদ্যনালী, ফুসফুস, মূত্রাশয়, জরায়ু এবং অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি অর্ধেক হয়ে যায়।
- ধূমপান বন্ধ করার প্রায় ১৫ বছর পর করোনারি হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি একেবারেই কমে যায়।