বর্তমান বিশ্বে স্তন ক্যানসার একটি পরিচিত রোগ। স্🅠তন ক্যানসারের কথা এলেই অনেকে ভাবেন, এই রোগ শুধু নারীদের মধ্যে দেখা যায়। তবে এটি কেবল নারীদের অসুখ নয়। পুরুষদের দেহেও এই রোগ বাসা বাঁধতে পারে। এ বিষয়ে সচেতনতার অভাবে অনেক সময় চিকিৎসা শুরু হতে দেরি হয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্তন ক্যানসারের প্ꦿরবণতা নারীদেহে বেশি হলেও এটি কেবল ‘মেয়েদের অসুখ’ নয়। পুরুষদের শরীরে স্তনের টিস্যু থাকে অল্প পরিমাণে। কিন্তু তাতেও বিপদ দেখা দ🌌েওয়া অস্বাভাবিক নয়। যত স্তন ক্যানসারের ঘটনা সারা পৃথিবীতে ধরা পড়েছে, তার প্রায় ১ শতাংশ পুরুষদের দেহে দেখা যায়। তবে এই ১ শতাংশের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে ক্যানসার। ফলে প্রথম থেকেই সাবধান হওয়া দরকার।
উপসর্গ কী কী
উপসর্গ সম্পর্কে সচেতন থা♊কলে দ্রুত চিহ্নিত হতে পারে ক্যানসার। তাতে সুস্থ হওয়ার আশা কিছুটা হলেও উজ্ꦦজ্বল হয়।
পুরুষদের স্তন ক্যানসারের লক্ষণ কোনগুলো
আমেরিকার চিকিৎসা নিয়ামক সংস্থা সিডিসি বলছে, স্তনের আশপাশে ব্যথা ﷺও ফোলা ভাব, স্তনে ঘা কিংবা লালচে ভাব এই রোগের লক্ষণ হতে পারে। পাশাপাশি, স্তনবৃন্ত থেকে পুঁজের মতো তরল পদার্থ নির্গত হওয়া, স্তনবৃন্তের ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখলে শুরুতেই সাবধান হওয়া দরকার। এই ধরনের সমস্যা দেখতে পেলে অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
সাবধান হতে কী করা যেতে পারে
স্তন ক্যানসারের আশঙ্কা আছে কি না, বুঝতে ‘বিআরসিএ’ পরীক্ষা করাতে হয়। এটি একটি জিনগত পরীক্ষা। এতে বিআরসিএ১ ও বিআরসিএ২— এই দুটি জিনগত পরিব্যাপ্তি পরীক্ষা করে দেখা হয়। যদি পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে, সতর্ক হওয়া দরকার। পজিটিভ এলেই সেই ব্যক্তির স্তন ক্যানসার হবে, এমন নয়। কিন্তু সে ক্ষেত্রে রোগের আশঙ্কা বেশি থাকে। পাশাপাশি বয়স বাড়লে পুরুষদের মধ্যে এই রোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়। ৫০ ও তার বেশি বয়সী পুরুষদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা যায়। পরিবারে স্তন ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে বা ওজন বেশি থাকলে এই রোগের আশঙ্কা বাড়ে।
সূত্র : আনন্দবাজার অনলাইন