মিষ্টি কুমড়া অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সবজি। খুব কম মানুষ পাওয়া যাবে এটি পছন্দ করেন না। মিষ্টি কুমড়া সবজি হিসেবে খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এর পুষ্টিগুণও খুব উচ্চ পর্যায়ে বিদ্যমান। ছোট বড় সকলেই খেতে পারেন এট🌳ি। চলুন আজ জেনে নিই মিষ্টি কুমড়ার পুষ্টিগুণ ও কয়েকটি উপকারিতার কথা-
রোগ প্রতিরোধ করে
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মিষ্টি কুমড়া একটি অত্যন্ত কার্যকরী। প্রতিদিন এই খাবারট𓄧ি খেলে রোগ ব্যাধির সংক্রমণ কমে যায়। এতে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন ই মানবদেহে ক্যানসার ও আলঝেইমার রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়ꦡ। মিষ্টি কুমড়ায় থাকা ভিটামিন সি রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
হাই প্রেসার কমায়
যাদের হাই প্রেসার রয়েছে তারা নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন। কারণ মিষ্টি কুমড়াতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আছে। আর এটি আমাদের শরীরে হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তা ছাড়া মিষ্টি কুমড়াতে প্রচুর 🅺পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
চোখ ভালো রাখতে মিষ্টি কুমড়া
মিষ্টি কুমড়াতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ বা বিটাক্যারোটিন রয়েছে। যেটি চোখের জন্য খুবই ভালো। আমাদের চোখের রেটিনার বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধে মিষ্টি কুমড়া খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শুধু চোখের অসুখ নয়, ভিটামিন এ এর অভাবজনিত অন্যান্য রোগেও মিষ্টি কুমড়া উপকারী। তাই চোখ সুস্থ ও সচল রাখতে খাদ্য🐽 তালিকায় প্রতিদিন মিষ্টি কুমড়া রাখতে পারেন।
ত্বক উজ্বল করে
মিষ্টি কুমড়া ত্বক উজ্বল করতেও সাহায্য করে। এতে বিদ্যমান ভিটামিন এ ও সি চুল এবং ত্বক ভালো রাখে। নিয়মꦜিত এই সবজি খেলে উজ্জ্বল চুল ও চকচকে ত্বকের জন্য উপকারী। তা ছাড়া বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করতেও মিষ্টি কুমড়া সাহায্য করে। এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে জিংক ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো রাখে 🎐ও অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
খাদ্য হজমে সাহায্য করে
মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে আঁশ বা ফাইবার আছ꧋ে যা স꧑হজেই হজম হয়। এটি হজমশক্তি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ ও পরিপাক নালীর খাদ্য সঠিক উপায়ে সরবরাহে এই সবজির তুলনা হয় না।
ডায়াবেটিসেও উপকারী
শরীরে নিয়মিত ইনসুলিন সরবরাহ করে এবং ক্ষতিকর অক্সিড🌜েটিভ চাপ কমায়। এ ছা💟ড়া হজমে সাহায্য করে এমন প্রোটিনও সরবরাহ করে কুমড়োর বিচি। ফলে রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
বয়সের ছাপ কমায়
এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক ও আলফা হাইড্রোক্সাইড। জিংক ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো রাখে ও অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করতে💎ও মিষ্টি কুমড়া সাহায্য করে।