ভোজনরসিক বাঙালিরা বরাবরই খেতে পছন্দ করে। মুখরোচক খাবার হলে তো কথাই নেই। পেটপুড়ে খেতে থাকেন। অথচ মুখরোচক এসব খাবারই আয়ু কমাতে যথেষ্ট। জীবনধারণের জন্য খাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু সেই খাবারই যদি জীবননাশের কারণ হয় তবে তো সাবধান হতেই হবে। ম💯ুখরোচক খাবার সাময়িক তৃপ্তি তো দেবে কিন্তু জীবনহানির ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেবে। বিশেষজ্ঞরা জানান, মুখরোচক খাবার খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে, হার্টের অসুখ হয়, অ্যালঝাইমার্স, ডিমেনশিয়ার মতো রোগের শঙ্কাও বেড়ে যায়। এসব রোগ বেড়ে গিয়ে ধীরে ধীরে আয়ু কমে যায়। তাই কিছু খাবার খেতে নিজেকে দূর থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রক্রিয়াজাত খাবার
বর্তমান সময়ে প্রক্রিয়াজাত খাবারের চাহিদা বেড়েছে। সময় বাঁচাতে অনেকেই প্রক্রিয়াজাত মাংস খেয়ে থাকেন। তাই টাটকা মাংস খাওয়ার স্বাস্থ্যগুণ থেকে বঞ্চিত হন। এসব প্রক্রিয়াজাত খাবারে তেমন স্বাস্থ্যগুণ নেই। বরং 𒈔প্রাথমিক ভাবে বোঝা না গেলেও এসব প্রক্রিয়াজাত খাবার নীরবেই শরীরের বড় ক্ষতি করে। এটি মরণঘাতী রোগের কারণও হয়ে দাড়ায়।
ইনস্ট্যান্ট নুডলস্
এখন অনেকেই ইনস্ট্যান্ট নুডলস বেশি খাচ্ছে। এটি দ্রুত প্রস্তুত করা যায়। তাই সময় বাঁচাতে এবং দ্রুত ক্ষুদা মেটাতে ইনস্ট্যান্ট নুডলস্ই ভরসা। কিন্তু জানেন কি, এসব নুডলস কতটা ক্ষতিকর। এই ধরণের নুডলসে অনেকটা পরিমাণ লবণ থাকে। যা শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দেꦆয়। ঘন ঘন এসব নুডলস খেলে শরীরে নানা রোগ বাধে। এরপর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। মানুষের আয়ুও কমে আসে।
সিরিয়াল জাতীয় খাবার
মুসলি, কর্নফ্লেক্সের মতো খাবার এখন অনেকেরই প্রিয়। বিশেষ করে ছোটদের নাস্তায় এসব খাবার প্রায়ই থাকে। কিন্তু এসব খাবার মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। 🌺এতে অতিরিক্ত চিনি থাকে। তাই ওজন কমানোর জন্য এসব খাবার খেলে খুব একটা উপকার পাওয়া যাবে না। বরং স্থূলতা, ডায়াবিটিসের মতো রোগের শঙ্কা বাড়িয়ে দেবে। যার ফলে আয়ুও কমতে থাকে।
চিপ্স, চানাচুর
অনেকেই কাজের ফাঁকে কিংবা সন্ধ্যার সময় নাস্তায় চিপস চানাচুর খান। আবা🌟র অফিসের কাজের ফাঁকেও এসব খাবার চিবোতে ভালোই লাগে। কিন্তু এই খাবারও স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।꧋ কারণ চিপ্স, চানাচুরে লবণের পরিমাণ অনেক থাকে। যা শরীরের রোগ বাঁধায়। নিয়মিত খেলে মানুষের আয়ু কমিয়ে দেয়।
বার্গার
বার্গার খেতে কেনജা পছন্দ করে। ছোট বড় সবারই বার্গার পছন্দ। এখন তো নানা স্বাদের নানা সাইজের বার্গার পাওয়া যায়। সেই লোভ কি আর সামলানো যায়। ✱তাই বাইরের খাবার মানেই বার্গার খেতে হবে। বাচ্চাদের টিফিনেও বার্গার দেন অভিভাবকরা। যা মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। নিয়মিত বার্গার খাওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য় ক্ষতিকর বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। কারণ বার্গারে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা অতিরিক্ত থাকে। আবার ক্ষতিকর ফ্যাটও রয়েছে এতে। যা শরীরের জন্য় ক্ষতিকর। এটি শরীরে কঠিন রোগ বাঁধাতে পারে। তাই নিয়মিত না খেয়ে মাঝে মাঝে বার্গারের স্বাদ নিতে পারেন। কিন্তু তা অবশ্যই ঘরে বানিয়ে নেবেন।
সূত্র: আনন্দবাজার