একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের শ্রদ্𝐆ধা ভরে স্মরণ করছেন তারাকারাও। অন্যান্যদের মতো নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন গুণী অভিনেত্রী ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক জ্যোতিকা জ্যোতিও।
𒅌বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দেশের এক গণমাধ্যমে ছোটবেলার একুশে ফেব্রুয়ারির নানান স্মৃতি শেয়ার করেন জ্যোতি। এসময় অনুভূতি শেয়ারে👍র পাশাপাশি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাও জানান এই অভিনেত্রী।
জ্যোতি বলেন, আমার শৈশব কেটেছে গ্রামের বাড়িতে। আমি যে স্কুলে পড়াশোনা করতাম সেখানে কোনো শহীদ মিনার ছিল না। একুশে ফেব্রুয়ারির দিন সকালে মা🤡ইকে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটি বাজানো হতো। এটি ভীষণ আবেগতাড়িত করে। আমরা তখন গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে ফুল সংগ্রহ করতাম। এরপর স্কুলে গিয়ে ইট দিয়ে শহীদ মিনারের মতো তৈরি করে শ্রদ্ধা জানাতাম।
অভিনেত্রী বলেন, এদিন গ্রামের সবাই নিজেদের গাছের ফুলগুলোর প্রতি বিশেষ নজর রাখতেন, যাতে কেউ ছিঁড়ে নিতে না পারেন। কারণ গ্রামে তো ফুল কিনতে পাওয়া যায় না। ফুলের প্রতি ⭕নজর রাখাটা এক প্রকার কপট রাগ বলা যেতে পারে। যার কারণে সবাই একটু সতর্ক থাকেন। এরই মাঝে ফুল চুরি শহীদ মিনারে দিতাম। এই চুরি করা ফুল দিয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর মাঝেও দারুণ আনন্দ ছিল, এটা অন্যরকম আনন্দ।
একুশে ফেব্রুয়ারিতে স্কুলে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন উল্লেখ করে জ্যোতি বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারিতে স্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতাম। কখনও রচনা প্রতিযোগিতা, কখনও আবৃত্তি প্রতিযোগ🅘িতায় অংশ নিতাম। এই সময়গুলো খুব ♕মনে পড়ে, স্মৃতিকাতর করে তোলে।
ঢাকায় আসার পর একুশে ফেব্রুয়ারিতে নিয়মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিওনারে ফুল দিয়ে ♔শ্রদ্ধা জানান জ্যোতি। তবে মাঝে কয়েক বছর যেতে পারেননি তিনি। শহীদ মিনারে না যেতে পারলে ভীষণ খারাপ লাগে বলেও জানান এই অভিনেত্রী।
একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বহুবার শহীদ মিনারে সারা রাত কাটিয়েছেন। সেটা স্মরণ করে জ্যোতি বলেন, কয়েক বছর ২০ ফেব্রুয়ারি🌸 দিবাগত রাত থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কাটিয়েছি। সেসময়টাতে রাস্তায় আল্পনা এঁকেছি, কখনও গালে শহীদ মিনার কিংবা বাংলা বর্ণ এঁকেছি। এসব স্মৃতি এখন আবেগ তাড়িত করে।