মাত্র ৯ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। শুক্রবার (২১ জুন) বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি। এর আগে ঈদের দিন আংটি বদল করলেন আলোচিত এই অভিনেত্রী। সেই বিয়ে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার শেষ নেই। এবার সেই সমালোচনার কড়া জবাব দিলেন অভিনেত্রী চমক। সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে তার ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন অভিনেত্রী স্টেটাস টি হুবহ ‘সংবাদ প্রকাশ’ পাঠকদের জন্য তুলেধরা হল-
·
যদি মনের মিল হয় তবে ৯০০ টাকার শাড়ি পরেও বিয়েতে বসা যায়। জন্ম, মৃত্যু , বিয়ে নাকি পূর্বনির্ধারিত ভাগ্য। তাহলে বিয়ে বিষয়টি নিয়ে ,কেনো আমরা এতো আলোচনা সমালোচনা করি? বিধাতা আমার বিয়েটা ,এই মানুষটার সাথেই লিখে রেখেছিলো। এই মানুষটাকে সবাই প্রচন্ড ধনকুবের কিংবা অসম্ভব ক্ষমতাশীল, খারাপ বা চরিত্রহীন মানুষ বলছে। অথচ এই মানুষটা এগুলোর একটাও না। টাকা পয়সা ক্ষমতা বরংচ আমারই বোধহয় একটু বেশি। এখন নিশ্চয়ই বলবেন তাহলে কেন তাকে বিয়ে করলাম ?
প্রথমত, বলেছিলাম বিয়েটা পূর্বনির্ধা൲রিত ভাগ্য। দ্বিতীয়ত, সারাদিন আমি কাজ করে বাড়ি ফিরলে মানুষটা জিজ্ঞাসা করে, রাতে কি খাবে ? শরীর কেমন ? প্রচন্ড মাথাব্যথা জ্বরে, মানুষটা আমার পাশে সারারা🅷ত জেগে থাকে।
আমার শুটিং এর ফাঁকে খোঁজ নিতে আসে আমার কিছু লাগবে কিনা। অথবা অনর্থকই আমার পাশে বসে থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা।
আমার কাছে এইসবের মূল্য টাকা দিয়ে বিচার হয় না। খুব সাধারণ চাওয়া পাওয়া আমার, তাই খুব সাদামাটা ভাবেই এই মানুষটিকে জীবনসঙ্গী করে নিলাম l কোনো দামী শাড়ি , সোনাগয়না , মোটা অংকের দেনমোহর কিছুই না। ৯ টাকা দেনমোহর, ৯০০ টাকার শাড়ি, হাজার টাকার রজনীগন্ধা, বান্ধবীর শাড়ি আর এক পেইজের থেকে স্পন্সরড ইমিটিশনের গয়না পরেই বিয়েটা করলাম। মানুষটার সম্পদ বলতে কিছুই নেꩵই , অতীতও খুব একটা মধুর নয়। কিন্তু রাজার মতো একটা মন আছে , যেখানে সে আমাকে রানীর মতো রেখেছে। আমি সুখী। এই মুহূর্তে আমার মতো সুখী কজন আছে জানি না।
আবার এই সুখ কতদিন টিকবে তাও জানি না। তবে এই মানুষটার সাথে সারাজীবন কাটিয়ে দেয়ার ইচ্ছে আছে। বাকিটা উপরওয়ালার ইচ্ছে।
আপনারা ও সুখে থাকুন। আমার জীবন নিয়ে নিজেদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে অল্পতেই ♏সুখ খুঁজতে শিখুন। আপনার জীবনসঙ্গী কিংবা আশেপাশের মানুষকে জাজ না করে ভালোবাসুন , ভালো থাকুন , ভালো রাখুন। ‘আর বিয়েটা যেন টাকা পয়সা দেখানো , স্টেটাস শোঅফ এর জন্য না হয় , বিয়েটা যেন হয় ভালোবাসার , ভালোথাকার’।