• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


পচা খাবার খাওয়ানোর অভিযোগে ক্যান্টিনে তালা


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২২, ০৮:৪৫ পিএম
পচা খাবার খাওয়ানোর অভিযোগে ক্যান্টিনে তালা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি জসীম উদ্দীন হলে পচা খাবার রান্না করে খাওয়ানোর ‌অভিযোগে ক্যান্টিনে তালা লাগিয়েছে সাধারণ শিক্ষার🅠্থীরা।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে ভাতে পোকা🅷, রান্না করা ভাতে পোকা ও মুরগির মাংসে পালক থাকার অভিযোগে হলের ক্যান্টিনে তালা লাগিয়ে দেয় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যান্টিনের সব খাবারই পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত। ভাতের নামে খাওয়ানো হচ্ছে চালের গুড়ি। এ ছাড়া সব ধরণের মাছ-গোশত ও তরিতরকারি বাসি ও পচা। এ সময় তারা ম্যানেজার মোবারককে অপসারণ এবং ক্যান্টিন পরি💦ষ🍨্কার ও মানসম্মত করার আগ পর্যন্ত তালাবদ্ধ রাখার হুঁশিয়ারি দেন।

সরেজমিনে ক্যান্টিনের রান্নাঘরে গিয়ে দেখা যায়, খোলা রান🌄্না করার ভাতের পাশেই রাখা আছে বাসন ধোয়ার পানি। যেখান থেকে সহজেই পানি ভাতে পড়ছে। এছাড়াও ভাতে আছে পোকা। রান্না করা মুরগিতে দেখা যায় পালক। এছাড়াও ফ্রিজের ভেতরের বেশির ভাগ খাবারই পঁচা ও নষ্ট।

এদিকে শিক্ষার্থীদের জেরার 🎃মুখে ক্যান্টিন ম্যানেজার মোবারক পচা চালের বস্তা দোকানদার ভুল করে দিয়ে গেছে দাবি করেন। এছাড়া পচা মাংসের প্যাকেটের বিষয়ে বলেন, “এটি কোনো শিক্ষার্থী ক্যান্টিনের ফ্রিজে রেখে গেছে।”

কবি জসীম উদ্দীন হল ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়ালিউল সুমন বলেন, “ক্যান্♋টিনের চালগুলো দেখে বোঝা যায় এগুলোর মেয়াদ এক বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। মাছ-মাংস, তরকারিগুলো হয়তো অনেক আগে ফ্রিজে রেখেছে তাই নষ্ট হয়ে পচে গেছে। এটি মানব স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। তাই ছাত্রদের স্বার্থে আমরা হল প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়🎉ে এই ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান করব।”

সা⛦ধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বলেন, “হলের চালগুলোর যা অবস্থা, মানুষ তো দূরে থাক পশুপাখিকেও খাওয়ানোর অবস্থায় নেই। মাছ-মাংসগুলো পচে গেছে, আটাতে শ্যাওলা জমে গেছে। শিক্ষার্থীদের জন্য যেটি ভালো ♏হবে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কবি জসীম উদ্দীন হল ছাত্রলীগ হল প্রশাসনে সহযোগিতা করবে।”

কবি জসীম উদ্দীন হল প্রাধ্যক্ষ ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত♍ করে বলেন, “খাবারগুলো শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। অপরাধীকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্যান্টিন বন্ধ থাকবে।”

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ক্যান্টিন এখনো বন্ধ আছে। এছাড়াও জব্দ করা পচা খাবার বাজেয়াপ্ত করার ব্যবস্𒆙থা নেওয়া হয়েছে।

Link copied!