• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


নানা সমস্যায় জর্জরিত বশেমুরবিপ্রবির আবাসিক শিক্ষার্থীরা


বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২, ০৯:৫১ এএম
নানা সমস্যায় জর্জরিত বশেমুরবিপ্রবির আবাসিক শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা হবে বিশ্বমানের। বিশ♏্ববিদ্যালয়ে পড়ে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্ষমতা অর্জন করবে আন্তর্জাতিক শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মেলানোর। শিক্ষার্থীরা শিখবে নৈতিকতা, মহানুভবতা, মননশীলতা। পূর্ণ-পরিসরে সেই সুযোগ পান না বাংলাদেশের অন্যতম একটি স্থান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পিতৃভূমি গোপালগঞ্জে অবস্থিত তারই নামে নামাঙ্কিত ব📖ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় একজন ছাত্রকে শুদ্ধ মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার যায়গা। বিশ্বমানের পড়ালেখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিখবে বৈশ্বিক জ্ঞান। মেধা ও ম♓ননশীলতায় একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়ে উঠবে বিশ্বমানের। ꦅদেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বকে দেখতে পাবেন তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশের মাধ্যমে।

তবে এইসব সুবিধায় ভাটা পড়ে আছে বশেমুরবিপ্রবিতে। ক্যাম্পাসে নেই ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র। যেখানে অবাধ চলাচলের মাধ্যমে শিক্ষকদের থেকে জ্ঞান আহরণের সুযোগ থাকবে ছাত্র-ছাত্রীদের। সেইসঙ্গে বশেমুরবিপ্রবির হলগুলোতে নেই যথাযথ ব্যবস্থা। নেই উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ, নেই পত্রিকা পাঠের রুম, নেই ইনডোর খেলার রুম, বিনোদনের🤡 জন্যও নেই কোনো আলাদা টিভি রুমের ব্যবস্থা।

যেখানে খেতে যান শিক্ষার্থীরা সেখানেই দাঁড়িয়ে পত্রিকা পড়তে হয়। আবার সেখানে উচ্চ শব্দে চলে টেলিভিশন। কেউ আবার এক কর্নারে ক্যারাম খেলেছেন আর সাফল্য♕ের চিৎকার করছেন। এসব সহ্য করেই দাঁড়িয়ে পড়তে হবে পত্রিকা। ওদিকে ভাতের থালা হাতে নিয়🐼ে জায়গার অভাবে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাচ্ছেন কয়েকজন। এই হলো বশেমুরবিপ্রবির হলগুলোর নিত্যদিনের চিত্র।

হলের অসুবিধার কথা উল্লেখ করে শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শামসুর রাহমান পাভেল বলেন, “যেহেতু পাবলিক বিশ্ববিদ্🐈যালয়ে পড়ি সেহেতু অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুযোগ সুবিধা পাবো এইটুকু আশা প্রশাসন থেকে করতেই পারি আমরা।”

বঙ্গমাতা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাদিয়া জাহান বলেন, “হলের অবস্থা তো এই সম্♏প্রতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিছুদিন আগেও আমরা বেড শেয়ার করে থাকতাম। আর হলে বড় রিডিং রুম দরকার যাতে বেশি শিক্ষার্থী পড়া যায়। টিভিরুম আর পত্রিকা রু✨ম দুটো অবশ্যই আলাদা হাওয়া জরুরি।”

এ বিষয়ে🅠 জানতে চাইলে শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট এমদাদ হোসেন বলেন, “অবশ্যই শিক্ষার্থীরা এসব সুবিধার দাবিদার। আমাদের বিশ্ববিদ্যꦅালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি, ক্যাম্পাসের জায়গার পরিমাণ কম, আবার হলের গঠনগত দিক থেকেও কমতি আছে। তাই এসব সুবিধা থেকে বর্তমানে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত। তবে এসব সুবিধা তারা অবশ্যই পাবে।”

এমদাদ হোসেন আরও বলেন, “আমার শেখ রাসেল হলে এসব সু🐻বিধা খুব শিগগিরই আসছে। আমাদের কনস্ট্রাকশনের কাজ শেষ হচ্ছে দ্রুত। সেখানে আমরা একটি গেস্ট রুম, আলাদা বড় ইনডোর গেমস রুম এবং আলাদা টিভি রুমের ব্যবস্থা করতে পারবো। বড় একটি রিডিং রুম এবং বর্তমানের থেকে বড় প্রেয়ার রুমের ব্যবস্থা করার চিন্তা আছে আমাদের।”

শিক্ষা🍷র্থীদের প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষার্থী উপদেষ্টা ড. শরাফত আলী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসাবে হলের সকল সুবিধা পাওয়া তাদের অধিকার। তবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় নতুন, পরিসর কম, অবকাঠামো কম, তাই কিছু সুবিধা থেকে আমাদের শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত।”

Link copied!